মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা,
গাইবান্ধায় এ্যাপোলো হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সিজার (অপারেশন) এ ভুল করায় সিভিল সার্জন এর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেন ভুক্তভোগী প্রসূতি শাপলা বেগম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত বোর্ড গঠন করলেন সিভিল সার্জন ডাঃ কানিজ সাবিহা।
ভুক্তভোগী শাপলা বেগম সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যধানঘড়া গ্রামের৷ নাজমুল হাসানের স্ত্রী।
অভিযোগে জানা গেছে, শাপলা বেগম গভবর্তী অবস্থায় শারীরিক অসুস্থজনিত কারণে গত ০৮-০৪-২০২৪ ইং তারিখে গাইবান্ধা পৌর শহরের এ্যাপোলো হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা শেষে এদিনই ভর্তি হয়ে সিজার (অপারেশন) করার পরামর্শ দেন।
ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক
ওই হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার তার সিজার (অপারেশন) সম্পন্ন করেন। সিজারের পর শিশু বাচ্চা সুস্থ থাকলেও শাপলা বেগম প্রচন্ড জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ওই ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে থাকেন। এতেও সুস্থ না হয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১২-০৫-২০২৪ইং তারিখে রংপুর শহরে পপুলার ডায়াগনষ্টিক (০১) এ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যান।
সেখানে ডাক্তারের পরামর্শে আলট্রাসোনগ্রাম বাদে ৫ টি পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষে শারীরিক কোন সমস্যা নেই মর্মে ডাক্তার রিপোর্ট দেন। সেই সাথে জ্বরের ঔষধের জন্য আবারও ব্যবস্থা পত্র প্রদান করেন।
এ ব্যবস্থা পত্রেও কিছু দিন ঔষধ সেবনে সুস্থ না হওয়ায় গত ০১-০৬-২০২৪ ইং তারিখে গাইবান্ধা শহরের সোনারবাংলা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এসে ডাক্তারের পরামর্শ মতো আলট্রাসোনগ্রাম করেন। রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানান, সিজার অপারেশনে ত্রুটির ফলে পেটের ভিতরে ঘা হয়ে ইনফেকশন হয়েছে। এ আলট্রাসোনগ্রামসহ ৬টি পরীক্ষা এবং কয়েক দফা ব্যবস্থাপত্র নিতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এখনো সম্পূর্নরুপে সুস্থতা লাভ করতে পারেননি।
তাই এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শাপলা বেগম সিজার (অপারেশন) কাজে এ্যাপোলো হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ডাক্তারের অবহেলা এবং ত্রুটিকে দায়ী করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে গত( ৬ জুন) ইং তারিখে সিভিল সার্জন এর দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পরবর্তী গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি আসলে। নরেচরে বসে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা শুরু হয় দৌড়ঝাপ।
পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডাঃ কানিজ সাবিহা বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। বোর্ডকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।