মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা,
আপনি কেমন তা আপনার কর্মই বলে দেবে। আপনার কর্মগুনেই আপনি হবেন আলোচিত আবার কখনও সমালোচিত। এমনই এক কর্মগুনে সকলের ভালোবাসায় সিক্ত তিনি হলেন ডা.মো: সেলিম পোদ্দার, তার শিক্ষা জীবন এসএসসি ২০০৫ সালে, এইচএসসি ২০০৭ সালে, এরপর ডিএম এফ পাস করার পর,২০১৪ সালে চাকরি জীবন শুরু করেন।
প্রথমে যোগদান করেন চর রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কুড়িগ্রামে, সেখানে ৭মাস কর্মরত থেকে চিকিৎসা জগতে পা দিয়েই মানব সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। পিছিয়ে পড়া স্বাস্থ্য সেবায় জেলা কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দিতে নিজেকে গর্ব মনে করেন ডা. সেলিম পোদ্দার।
হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর কাছে শুরুতেই চাকরি জীবনে তকমা পায় গরীবের ডা.হিসেবে।
কিছুদিন পর বদলি হয় গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল,সেখানেও অনন্য নজির রাখেন এই ডাক্তার,
সবচেয়ে হাসপাতালে বেশি রোগী দেখেন এই ডাক্তার,হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও জানান। সেলিম ডাক্তার সবচেয়ে বেশি রোগী দেখেন।গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে খোঁজ নেই আমরাও হাসপাতালে গিয়ে তার সত্যতা পাই।
পরবর্তীতে বদলি হয়ে সদর উপজেলা বালুয়া রামচন্দ্রপুর পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগদান করেন। কিছুদিন থাকার পর রোগী দেখার নেশায় আবার গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে নিজে ইচ্ছায়। বদলি নেয় ডা. সেলিম পোদ্দার।
এর কিছুদিন পরেই আই এম সি আই( মা ও শিশু) স্বাস্থ্য সেবায় এর উপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ট্রেনিং নেন। তারপর এনসিডি ঢাকা বারডেমে নন-কমিউনিকেবল ডিজিস এর উপর ২য় পর্যায়ে ট্রেনিং গ্রহন করেন।
এরপর আবার ৩য় ধাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করণে এর উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ এই মানবতার ফেরিওয়ালা। কর্মস্থলে সম সময়ই রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন এই ডাক্তার,
হাসপাতালে যখন সবাই ডিউটি করে যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত তখনও এই মানবতার ফেরিওয়ালা ডাক্তার মো: সেলিম পোদ্দার রোগী দেখছেন,তিনি বলেন রোগী যতক্ষন আছে ততক্ষণ আমি রোগী দেখি, ফিরে দেই না,এখানে যারা আসে দরিদ্র মানুষেই বেশি আসে তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে আমি খুব শান্তি অনুভব করি, এতটুকু ক্লান্তিবোধ করি না। ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও ঠাট্টা করে বলেন।
স্যার আপনি মানবতার ফেরিওয়ালা,ডা. সেলিমও বলেন আমি তো গরীবের ডাক্তার। তোমরা যারা পরবর্তীতে কর্মজীবনে পা দিবে নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত করবে। এটাই প্রত্যাশা। জেলা সদর হাসপাতালের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ সেলিম পোদ্দার সাংবাদিকের প্রশ্নে বলেন।দীর্ঘদিন যাবত আমি সুনামের সহিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি।
২০১৯ সালে করোনার সংক্রমন যখন বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে মানবিকতাকে খুজে ফিরছে তখন অনেক চিত্রই মানুষের মনকে উদ্বেলিত করেছে। ভীতির কাছে হালকা হওয়া সম্পর্কগুলোকে মানবতার চাদরে ঢেকে দিয়েছিলেন এই চিকিৎসক।
জীবনের মায়া ভূলে মানবতার তরে নিজেকে যেন প্রায় উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন ডাঃ সেলিম পোদ্দার । ভয়কে জয় করে গাইবান্ধা জেলাবাসীকে করোনা মহামারীতেও চিকিৎসা সেবা দিতে যেয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে অভিজ্ঞতার কথাও জানান সংবাদ কর্মীর কাছে ৷
উক্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের ডা.সেলিম পোদ্দার বলেন, “আমি একজন চিকিৎসক। চিকিৎসক হিসেবে আমি আমার দ্বায়িত্বটাই পালন করেছি।
সেই সাথে পরবর্তীতে আমার কাজ হবে বিনামূল্যে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ঔষধসহ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। একটি চিকিৎসা ফাউন্ডেশন তৈরি করবো।যা রোল মডেল হিসেবে পরিচিত পাবে।সেই সাথে মানবতার ফেরিওয়ালা ডাক্তার হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছি।সবাই দোয়া করবেন।