বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিস্থলে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে’ ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার অংশগ্রহণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এদিকে সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মাইকযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। দুপুর ২টায় বিভিন্ন স্কুলের অর্ধশতাধিক শিশু শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুই ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এ প্রতিযোগিতায় ৬জন বিজয়ীর হাতে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে বই এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে সান্তনা পুরস্কার দেয়া হয়।
বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করে। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। পারতাম না নিজেদের ভাষা, জাতিসত্তা ও সংস্কৃতি সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে। জাতি পিতা তার এক জীবনে বাংলা ভাষা ও বাঙালির মর্যাদা রক্ষা করেছেন, মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম করেছেন, এই বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়ার কাণ্ডারী। আমাদের ছোট সোনামণিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে বেড়ে উঠবে, তার দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি নিজেরাও গান-কবিতা লেখালেখি করবে; তাদের সেই উৎসাহ দিতেই আজকের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিসের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, অফিসার্স এসোসিয়েশনের পক্ষে চৌধুরী মনিরুল হাসান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান’সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও জাতির পিতাসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোআ এবং বিকেলে মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।