বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের কানসার্ট চলাকালে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার সময় বাধা দিলে বহিরাগতের আঘাতে বশেমুরবিপ্রবি রোভার স্কাউটসের সদস্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গতকাল (৫ মার্চ) রাত ১১ টায় শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের কনসার্ট চলাকালে স্টেজের পাশে হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বহিরাগতরা কনসার্টের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করার সময় সেচ্ছাসেবীরা তাদের বাধাঁ দিলে তারা শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ শুরু করে। আক্রমণের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে বশেমুরবিপ্রবি রোভার সদস্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার ফলে কাঁধের হাড়ের সংযোগ স্থল থেকে সরে গেছে।
হামলার স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না নেওয়ার অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম বলেন, “কালকে প্রোগ্রামে ডিউটিতে ছিল বিএনসিসি
এবং রোভার স্কাউট। আমি একজন রোভার কর্মী হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল স্টেজের বাম পাশে। ডান দিকে স্থানীয় ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ইভটিজিং করছিল। ডানদিকে যারা দায়িত্বতে ছিল তারা ডাকলে আমি সহ কয়েকজন ডান দিকে যায়। স্থানীয়দের হাত থেকে মেয়েদের রক্ষা করতে গেলে তারা স্থানীয় নেতার প্রভাব দেখিয়ে উগ্রভাবে আচরণ করছিল। তাদেরকে নিষেধ করার এক পর্যায়ে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা করে। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিচার দাবী করছি।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনকে আরো বেশী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত হওয়ার বিষয়ে প্রক্টর ড.কামরুজ্জামান বলেন,” আমি নিজে উপস্থিত থেকে আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করি।আমরা লোকবলে কম হওয়া এই গ্যাঞ্জাজমের ভিতরে তো আমরা যেতে পারি নাই। বহিরাগতদের ঠেকানোর আনরা অনেক চেষ্টা করেছি। “