শেখ জহিরুল ইসলাম নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবার নামে দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছেন এমটি ল্যাব আসাদুজ্জামান।টি এইচ কে পুতুল বানিয়ে সে নিজেই যেন ছিল টি এইচের
ভূমিকায়। জৈনক আব্দুর রশিদ পূর্বে ঐ পদে কর্মরত ছিল।
সাবেক এমপির বলয়ে থেকে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে অপমান অপদস্থ করে আবদুর রশিদকে কিশোরগজ্ঞ বদলি করে আসাদুজ্জামান এমটি ল্যাব পদে দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। এমপি তুহিনের প্রভাব কাটিয়ে গত ১০ বৎসর একক আধিপত্য বিস্তার করে অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলে। নিজের মেয়ে তাবাসসুমের নামে কেয়া ফাগুন এন্টারপ্রাইজ হাসপাতালের বেডসিট বালিশের কাভার সহ আনুসাঙ্গিক জিনিস পত্র ধৌত করার ১ বৎসরের জন্য ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার টেন্ডার হাতিয়ে নেয়। প্রতিদিন ময়লাযুক্ত বেডসিট ধৌয়ার কথা থাকলেও ১৫ দিনেও না ধোঁয়ার অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তার সত্যতা পাওয়া গেছে।কেয়া ফাগুন এন্টারপ্রাইজ সিংরুইল নিউজের ঠিকানা থাকলেও সরেজমিন তার অস্তিত্ব এমনকি একটি সাইনবোর্ড পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় নি । আসাদুজ্জামান হাসপাতালে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ জমিদাতাদের নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক,নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল , এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট সহ বিভিন্ন নামে প্রশিক্ষনে ২০ জন অংশ গ্রহণ করলে ৫০ জনের ভূয়া বিল ভাউচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন।এ ব্যাপারে টি এইচ মামুনুর রশিদ জানান, আমি কাগজে কলমে দ্বায়িত্বে কিন্তু হাসপাতালের সমস্ত কিছু সাবেক এমপির প্রভাব কাটিয়ে সে নিয়ন্ত্রণ করে হরিলুঠের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তোলে। এমনকি অদ্যাবদি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আমাকে দেয়নি ও দেখায়নি
এমটি ল্যাব আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি এড়িয়ে উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।হাসপাতালকে তার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান করে বহাল তবিয়তে একক আধিপত্য বিস্তার অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীসহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবি করেন।