কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে মজিবুর রহমান (৫৫) ওরফে ‘দা’ (দাও) মজিবুর নামে এক আওয়ালীগ কর্মী নিহত ও কমপক্ষে ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি দুর্গাপুর আট নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সদস্য ছিলেন। রবিবার দুপুরের দিকে পৌরশহরের দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও পৌরশহরের বায়তুল আমান মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালের ছেলে আবির ও নিহত মজিবুরের ভাতিজার সাথে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে দুপুরে দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় দুই পক্ষের দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্য হয়। সংঘর্যে গুরুতর আহত মজিবুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর গুরুতর আহত আব্দুর রশিদ (৪৫) ও মুকসেদুর রহমানকে (৪৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়ে দুর্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে খাইরুল (২০), ফারুক মিয়া (২৩), নাঈম মিয়া (২০) ও সাগর (২২) এবং বাকী আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।
দুর্গাপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার রাশিদ মড়লের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না। অন্যান্যদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। কুল্লাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা হত্যাকে কেন্দ্র মজিবুর ভাই প্রায় সময় প্রতিবাদ করে আসছিল। এই নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়ালের লোকজনদের সাথে মজিবুর ভাইসহ তার লোকজন মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিরিশিরি ঘাটে মসজিদের সামনে দুপক্ষের মাঝে মারাপিটের ঘটনা ঘটে। এতে আ.লীগ কর্মী মজিবুর ভাই মারা যান।
দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আলম জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
দুর্গাপুরের সার্কেলে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস জানান, এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।