মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে হেলিকপ্টারযোগে এসেছেন রোমানিয়ার কন্যা সিমনা বধূ সেজে। তাকে এক নজর দেখতে শত শত মানুষের ভিড় করছেন। আমতলী পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে ঈদগাহ ময়দানে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) স্বজনদের দেখতে হেলিকপ্টারে বধূ ও ছেলে সন্তান নিয়ে আমতলী আসেন নাশির। বেলা সাড়ে এগারটার দিকে পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে ঈদগাহ ময়দানে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এসময় শত শত উৎসুক জনতা তাদের দেখতে ভিড় জমায়। ওই দম্পতিকে ফুল দিয়ে অভ্যার্থনা জানায় স্বজনরা। রোমানিয়ার কন্যা আমতলীর বধূ সিমনা উৎসুক জনতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।
জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের কালিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোনা মাতুব্বরের ছেলে নাশির মাতুব্বর কাজের সন্ধানে ২০০৩ সালে ইটালির উদ্দেশে পাড়ি জমান। চার বছর জীবন বাজি রেখে ছয়টি দেশ পাড়ি দিয়ে ২০০৭ সালে ইটালি পৌঁছান তিনি। ওইখানে তিনি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হন।
কাজের সুবাদে রোমানিয়ার বাসিন্দা সিমনার সঙ্গে তার দেখা হয়। আলাপ চারিতায় মন দেওয়া-নেওয়া। চার বছর চুটিয়ে প্রেম করেন তারা। ২০১৩ সালে তাদের প্রেমের পূর্ণতা পায় বিয়ের মাধ্যমে। ওই দম্পতির দাবিদ নামের পাঁচ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ইটালি প্রবাসী নাশির বর্তমানে গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। ভালোই কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন।
আমতলীর বধূ সিমনা বলেন, আমরা ছেলে সন্তান নিয়ে ভালোই আছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ইটালি প্রবাসী নাশির মাতুব্বর বলেন, চারটি বছর জীবন বাজি রেখে ছয়টি দেশ পাড়ি দিয়ে ইটালি গিয়েছে। ওইখানে গিয়ে কাজের সুবাদে রোমানিয়ার কন্যার সিমনার সঙ্গে দেখা হয়। দেখা থেকে প্রেম, প্রেম থেকে প্রণয়। আমরা এখন ভালোই আছি। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে হেলিকপ্টারে বধূ, ছেলে দাবিদকে নিয়ে এসেছি। অল্প দিনের মধ্যেই আবার চলে যাব।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রবাসী দম্পতি ভালোভাবেই আমতলী এসে পৌঁছেছেন। তাদের জন্য বেশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।