ঢাকার প্রবেশমুখে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আটক গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে আপ্যায়নের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, তাদের চিকিৎসাসহ যা যা প্রয়োজন সব যেন ঠিকমতো করা হয়। এটাই প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা। তিনি মানবতার নেতা। কিন্তু আরেক নেতা (খালেদা জিয়া) জ্বালাও-পোড়াও করা, হত্যা করা এসব পছন্দ করেন।’
শনিবার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শনিবার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বালানোর হুকুম দেন। অন্য নেতারা ওই ধরনের কর্মকাণ্ডের দিকে যাচ্ছেন। আমরা অনুরোধ জানাব- বিএনপি যেন ২০১৪-১৫ সালের ঘটনা আর না ঘটায়।
এসময় সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, আপনি একজন নেত্রীর কথা বলছেন, যিনি না কি আগুন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। তারপরও সেই নেত্রীর শ্বশুরকে ডিবিতে এনে আপ্যায়ন করা হয়েছে। আরেকজন নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পিএস দিয়ে জুস খাইয়েছেন। যারা পুলিশের ওপর হামলার জন্য নেতৃত্ব দিলো, তাদের আপনারা তোষামোদ করছেন?
জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা যখন আটক হয়েছেন, তখন রাস্তায় পড়ে গিয়েছেন। আমাদের পুলিশ বাহিনী শুধু কাজ করে না; তারা মানবতার বাহিনী। পুলিশ বিএনপির এক নেতাকে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়েছে, চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। আরেকজনকেও চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে অনেক মানবিক কাজ করে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাব অর্জন করেছেন। আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়েছিলেন সমবেদনা জানাতে। ওইদিন তিনি দরজা খুলেননি।