শখের দামি শাড়িগুলো ঠিকঠাক রাখার উপায়গুলো জেনে নিন। পোশাক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দামি শাড়ি যত্নে রাখার কয়েকটি উপায় এখানে দেওয়া হল:
মাঝে মধ্যে ভাঁজের পরিবর্তন: জরির কাজ ও সিল্ক শাড়ি ভালো রাখতে মাঝে মধ্যেই ভাঁজ পরিবর্তন করে নিন। ঘন্টাখানেকের জন্য তা রোদে দিন। তবে খুব বেশি কড়া রোদে দেবেন না। এতে জরির রং ও উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে। রোদে দিলে শাড়িতে ফাঙ্গাসের আক্রমণ বা স্যাঁতস্যাঁতের দুর্গন্ধ হবে না। শাড়ি যদি আলমারির পেছনের দিকে রাখা হয় তারপরও ভাঁজ পরিবর্তন করার কথা ভুললে চলবে না। এতে জরি ভেঙে যাওয়া বা স্থায়ী দাগ পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘরোয়া পরিচর্যা: পছন্দের সিল্ক শাড়ি যদি উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। খুব সহজেই সমাধান করা যায়। ১/৪ কাপ ডিস্টিল্ড সাদা ভিনিগার এক গ্যালন পানিতে মিশিয়ে তাতে শাড়িটি ডুবান ও পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিন যেন ভিনিগার শাড়ির তন্তু নষ্ট করতে না পারে।
হ্যাঙার ব্যবহার করবেন না: শাড়ি কখনই ধাতব হ্যাঙারে ঝুলাবেন না। জরি বা সিল্কের কাপড়ে লোহা বা ধাতব বস্তু প্রভাব ফেলে শখের শাড়িটি নষ্ট করে দিতে পারে। হয় কাপড় বা কাঠের হ্যাঙার ব্যবহার করবেন, না হলে সুতি বা মসলিন কাপড়ে পেঁচিয়ে সংরক্ষণ করুন। এতে বাইরের আর্দ্রতা থেকে রক্ষা পাবে। চাইলে সিলিকা জেলের পাউচ ব্যবহার করে আর্দ্রতা ও ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারেন।
দাগ দূর করা: শাড়িতে দাগ পড়লে ঠাণ্ডা পানির প্রবাহতে ধুয়ে নিন। অর্থাৎ কল চালিয়ে তার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে মৃদু সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তেলের দাগ দূর করেত ট্যালকম পাউডার বা গ্লিসারিন ব্যবহার করে দাগ শুকিয়ে নিয়ে ধুয়ে নিন।
ন্যাপথলিনের: মথ ও সিল্ভারফিসের আক্রমণ থেকে শাড়ি বাঁচাতে ন্যাপথলিন ব্যবহার করুন। তবে তা সরাসরি ব্যবহার করবেন না। এতে জরি বা নকশার রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে না চাইলে নিম-পাতা ব্যবহার করুন। এর অ্যান্টি-পেস্ট বা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান এসব জীবাণূ দূর করতে সাহায্য করে।