সাফের রাজা তারা। তাদের থেকে শিরোপা নেওয়ার সাধ্য খুব কম দলেরই আছে। কুয়েত চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারল। আর রেকর্ড নবম শিরোপা উৎসব করল ভারত।
এদিন প্রথমার্ধে দুই দলই সমানতালে লড়াই করে। বল দখলে কুয়েতের চেয়ে ভারত কিছুটা এগিয়ে থাকলেও কাকতালীয়ভাবে গোলমুখে সমান চারটি করে শট নেয় তারা। যার মধ্যে আবার একটি করে শট জালে জড়ায়। যদিও প্রথম কুড়ি মিনিট একচ্ছত্র আধিপত্য রাখে কুয়েত।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটে দলটির শাবিব আল খালদি এগিয়ে দেন কুয়েতকে। এক গোল হজমের পর অনেকটাই আগ্রাসী হয়ে ওঠে ভারত। তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে একের পর এক ফাউল করে স্বাগতিকরা। তবে দেরিতে হলেও ম্যাচে ফিরেছে ভারত।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে কুয়েতের রক্ষণ ভেঙে চুরমার করে ভারতের ফরোয়ার্ডরা। এরপর নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান লালিয়ানজুয়ালা। ৩৭ মিনিট স্তব্ধ থাকা বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তেরেভা স্টেডিয়াম জেগে ওঠে মুহূর্তেই। ভারতও পুরোপুরি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নিয়ে নেয়। ধীরে ধীরে বাড়ে আক্রমণের ধার। কুয়েতও থেমে ছিল না, সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলকে কিছুটা গুছিয়ে খেলতে দেখা যায়। তাতে গোলের অপেক্ষা বাড়ায় আগের মতো আগ্রাসী হয়ে যায় ভারত। সেই সঙ্গে কুয়েতও এলোমেলো ফুটবল খেলতে থাকে। তবে গোলমুখে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় অতিথি দলটি। উল্টো সময় যত এগোতে থাকে, তত আক্রমণের চাপ বাড়ায় ভারত। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই আর গোল পায়নি।