পাকিস্তানে সামরিক বাহিনী ও সরকারের তীব্র চাপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল থেকে পদত্যাগ করা নেতাদের অনেকেই জাহাঙ্গীর তারিনের সদ্য গঠিত দল ইসতিকাম-ই-পাকিস্তান পার্টিতে (আইপিপি) যোগ দিচ্ছেন। জাহাঙ্গীর তারিন একসময় ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও তাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে তিনি আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। তবে এখন আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ইপিপি গঠন করেছেন।
আলিম খান, ইমরান ইসমাইলসহ পিটিআই ছেড়ে আসা কয়েকজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারিন বলেন, ‘আমরা নতুন একটি রাজনৈতিক দল ইসতিকাম-ই-পাকিস্তান পার্টির (আইপিপি) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছি।
উল্লেখ্য, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র তারিন ২০১৮ সালে সরকার গঠন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু ইমরান ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করলে তিনি সরে যান।
তিনি বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশকে বর্তমান সঙ্কট থেকে উদ্ধারের জন্য তিনি এই প্লাটফর্মে সবাইকে সমবেত করছেন।
উল্লেখ্য, ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর গত ৯ মে সামরিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাংচুরের জন্য সামরিক বাহিনী ও সরকার ইমরান খান ও তার দলের সদস্যদের দায়ী করছে। তাদেরকে সামরিক আদালতে বিচার করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। ইমরানের দলের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকে আর রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন পক্ষের শর্তে রাজি না হলে বার বার গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের অনেকে ছাড়া পাওয়ার পর ইমরান খানের দল থেকেও সরে যাচ্ছেন।
জাহাঙ্গীর তারিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন ৯ মের দুর্বৃত্তদের বিচার করা উচিত। নইলে ভবিষ্যতেও রাজনৈতিক বিরোধীরা আক্রান্ত হবে।
ইমরান খানের পিটিআই থেকে সরে আসা বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আইপিপিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফাওয়াদ চৌধুরী, ইমরান ইসমাইল, আলী জাইদি। এছাড়া মুরাদ রাস, ফিরদাউস আশিক আওয়ান, মোহাম্মদ জাহির উদ্দিন খান আলিজাই, ফয়াজ উল হাসান চৌহান, মালিক নুমান আহমদরাও আইপিপিতে যোগ দিতে পারেন।
সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল