২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার এবং প্রেসার কুকারের মূল্য সংযোজন করে (মূসক) অব্যাহতি সুবিধা প্রদান ও বহাল রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে না।
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম (বাজেট) অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত নতুন বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেটে ঘাটতি আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড়দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক বাজেট উত্থাপনে অর্থমন্ত্রী রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর এবং তা উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি ও স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান মূসক (আগাম করসহ) ও সম্পূরক শুল্ক (প্রযোজ্যক্ষেত্রে) অব্যাহতি সুবিধা ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করেন।
ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেক্ট্রিক ওভেনের উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর এবং ওই পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সমুদয় মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) ও সম্পূরক শুল্ক (যদি থাকে) অব্যাহতি সুবিধা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এ ছাড়া ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার এবং প্রেসার কুকারের মতো গৃহস্থালি সরঞ্জাম উৎপাদনে মূল্য সংযোজন কর এবং ওই পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপনীয় সমূদয় মূল্য সংযোজন কর (আগামকর সহ) ও সম্পূরক শুল্ক (যদি থাকে) অব্যাহতি সুবিধা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাজেট ঘোষণার দিনই সাধারণত আমদানি শুল্ক ও করসংক্রান্ত প্রস্তাব কার্যকর হয়।