যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার শিল্পনগরী নওয়াপাড়ার রাজঘাটে মাইলপোস্টে অবস্থিত মেসার্স ইয়াকুব আলী ফরিদপুর লিঃ নাহার ঘাট দখলের জন্য পায়তারা করছেন স্থানীয় নওয়াপাড়া পৌরসভার দুই কাউন্সিলর এই মর্মে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার (৩১ মে) যশোর জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভুক্তভোগী ঘাটের সরদার দেবাচার্য্য রায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহার ঘাটের সরদার বলেন, দীর্ঘ একযুগ যাবত তিনি নাহার ঘাটের সুনামির সাথে কাজ করছেন।কিন্তু ঐ ঘাটের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল ফারাজী অরফে রেজা ও ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিপুল শেখের।আর এজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের ফন্দি আঁটতে থাকে।তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ এপ্রিল আকিজ এসেন্সিয়াল লিঃ ঘাট সুপারভাইজার ওবায়দুল রহমানকে পরিকল্পনা করে স্থানীয় লোকজন ডেকে এনে স্থানীয় থানা পুলিশ নিয়ে এসে আকিজ গ্রুপের এক ট্রাক ডিএপি সার চুরির মিথ্যা অভিযোগ দেয়। অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাইলে লম্বা ছুরি দিয়ে কাউন্সিলর বিপুল শেখ হত্যার চেষ্টা চালায় কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যাই।পুলিশ থানায় নিয়ে যায় এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঘাটের সরদারজানান স্থানীয় কাউন্সিলর বিপুল শেখ একজন জোয়াড়ী
ও রেজাউল ফারাজী গডফাদার ও চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ মে অভয়নগর থানার ইনচার্জ যশোর পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দিলে গত ২৫ মে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খ-সার্কেল জনাব মুকিত সরকারের কার্যালয়ে তাকে ও বিবাদী পক্ষের রানা,রনি,সবুর ও সুমনের জবানবন্দি শুনে মৌখিকভাবে ঘাটে কাজ করার জন্য বলেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৭মে কাজে গেলে কাউন্সিলর ও সন্ত্রাসীরা আমাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন বিভিন্ন মোহল তাকে দিয়ে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন স্থানীয় দুই কাউন্সিলর।
পরিশেষে তিনি সত্য উদঘাটন করে তাকে কর্মস্থলে ফিরে যেতে স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকসহ নাহার ঘাটে কর্মরত শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।