কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : শিক্ষকের বেত্রাঘাতে সপ্তম শ্রেণি পড়ূয়া এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। হাসপাতালে আনার পথে ছাত্রী অবস্থা খারাপ প্রতীয়মান হলে বিদ্যালয়ের দপ্তরি পথের মধ্যেই সটকে পড়েন। পরে সাথে থাকা দুই ছাত্রী ভুক্তভোগীকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। তবে হাসপাতালে আনার সময় শিক্ষকদের সহায়তা পায়নি দুই ছাত্রী। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ভুক্তভোগীকে ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা করাতে প্রেসক্রাইব করে।
গণমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি অবগত হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসা ছাত্রীদের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২২ মে) বিকেলে নেত্রকোনার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে কামারউড়া আবু আব্বাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রী অয়েলপাড় গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
নাম না প্রকাশে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একছাত্র এক টুকরো কাগজকে বলের মতো বানিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ঢিল মারেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকের (শিক্ষকের নাম হেলিম না সেলিম স্পষ্ট করা যায়নি) কাছে বিচার দেন। শিক্ষক ভুক্তভোগীকে বলে তুমি দাঁড়িয়ে কথা বলছো কেন বলেই ছাত্রীকে বেত্রঘাত করেন। কিছুক্ষণ পরে ভুক্তভোগী অজ্ঞান পড়েন।
আবু আব্বাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল আজাদ জানান, তেমন কিছু হয় নাই। মেয়ের অভিভাবকেরা সাথে আছে’। অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি (প্রধান শিক্ষক) প্রতিবেদকে সাথে ঔদ্ধ্যত্যপূর্ণ আচরণ ও রাগন্বিত স্বরে বলেন, শিরোনাম করতে হবে না। হইছে না তো কিছু। আপনি শিরোনাম করে করবেন-টা কি?
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুরকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের গাঁয়ে হাত তোলা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। এমন কাজ করে থাকলে শিক্ষক অন্যায় কাজ করেছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলে দিচ্ছি বিষয়টি দেখার জন্য।