কে.এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনা বারহাট্টায় স্কুল থেকে সহপাঠীদের সাথে বাড়ি ফেরার পথে বখাটের দায়ের কুপে নিহত হন ১০ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী মুক্তি রানী। তিনি উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুর গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য ছিল। বখাটে কাউসার মিয়া একই গ্রামের সামছু মিয়ার মিয়া।
এ ঘটনায় ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মামলার আইনগত বিষয়গুলো দেখভালের জন্য বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) সহ ৬৬টি সামাজিক, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সামাজিক প্রতিরোধ’ কমিটির ঢাকা, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার প্রতিনিধি দল মুক্তি বর্মণের বাড়ী পরিদর্শন করেন।
‘সামাজিক প্রতিরোধ’ কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, মহিলা পরিষদের জনা গোম্বামী, মাহমুদা হেলেন, তাহেজা বেগম ও শামীম আফরোজ আইরিন। বিএনপিএসের মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী ও সুরজিত ভৌমিক। আইইডির শ্যামলেন্দু পাল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অ্যাডভোকেট নাহিদা খানম, ব্লাষ্টের আবুল কাশেম মুসা, এ্যাকশন এইডের নুরুন্নাহার প্রমুখ।
বুধবার (১০ মে) বিকেলে ‘সামাজিক প্রতিরোধ’ কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ মুক্তি বর্মণের বাবা, মা ও বোনদের সমবেদনা জানান। পাশাপাশি মামলা পরিচালনার সবসময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্তসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পরে মামলার বিষয়ে বারহাট্টা থানার ওসি খোকন কুমার সাহার সাথে মতবিনিময় করেন।
এরআগে প্রতিনিধি দলটি প্রথমে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. লুৎফর রহমানের কাছে সঠিক ও দ্রুত চার্জসীট প্রদানের জন্য স্মারকলিপি দেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. হারুন অর রশিদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র আইনজীবিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২ মে দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তি রানীর পথরোধ করে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে কাউসার। সহপাঠী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তি রানীকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেতরে বখাটে যুবকের বাড়ির কাছে একটি জঙ্গল থেকে কাউসারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।