মোঃ বাবুল হোসেন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রায়কালী ইউনিয়নের এক যুবক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে অভিনব কায়দায় তরুণীকে বিয়ে ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে৷
অভিযুক্ত যুবকের নাম তারেক (২৫)। তিনি রায়কালী ইউনিয়ন খোলসা পাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বক্তব্যে বলেন, ২০২১ সালের দিকে সিমার (ছদ্মনাম) সঙ্গে তারেক রহমান নামের এক যুবকের ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হলেও তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়।
নিজেই প্রেমিক সেজে সিমার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় শুরু করেন। সিমার সংঙ্গে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা পরিচয় দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ওই তরুণীর ঢাকা গাজিপুর বাসায় যান। এভাবেই আস্তে আস্তে ওই পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বনে যান৷
বিভিন্ন অজুহাতে কখনো মায়ের অসুস্থতা কখনো বাবার হার্টের অপারেশন এর অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক৷ প্রতারণার কৌশল হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেছেন ও নিজ নামে ব্যাংক একাউন্টে চেক হস্তান্তর করেন সীমার কাছে৷
পুনরায় সিমাকে মেসেঞ্জারে বলেন, মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজশাহী হাসপাতালে ভর্তি আছে।’ তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হচ্ছে জানিয়ে তার কাছ থেকে দফায় দপায় আরিফ টেলিকম এজেন্ট বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেন। এদিকে (৫এপ্রিল) সিমা ও তার পরিবার তারেকের সঙ্গে দেখা করার জন্য জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা হলে অভিযুক্ত তারেকের গ্রামের বারি এসে দেখতে পান তারেক বিদেশে পালিয়ে যান৷
চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে সিমাকে জানান। বাঁকী টাকা তারেকের পরিবারের পক্ষ থেকে দেবে অবশিষ্ট চার লক্ষ টাকা সিমাকে দিতে বলে। তার কথামতো সিমা বিয়েও চাকরির আশায় চার লাখ টাকা দেন। টাকা নেওয়ার পর তারেক তার ব্যবহৃত ফোন নম্বর এবং ভুয়া আইডিগুলো বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তারেকের বাড়ীতে সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় তিনি একজন প্রতারক মালয়েশিয়া গিয়েছেন বলে তারেকের গ্রাম বাসিরাও জানান৷ তবে এ বিষয়ে তারেকের বাবা আব্দুল গফুর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি৷ তবে অভিযুক্ত তারেকের ব্যবহৃত মুঠোফোনের সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত সকল ফোন নাম্বার ইমো হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুক বন্ধ পাওয়া যায়৷
পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান আমি ঢাকা গাজীপুর থেকে এসেছি তারেক ও তার পরিবারের সদস্যরা সুকৌশলে টাকা আত্মসাত করেছে আমি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করবো৷