স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার বারহাট্টায় স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে প্রকাশ্য দিবালোকে বখাটের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন ১০ শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণ (১৫)। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হত্যকারী নরপশুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবীতে উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
নিহতের বিদ্যাপিঠ প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বারহাট্টার শাখার যৌথ উদ্যোগে ঘন্টাকালব্যাপী মানববন্ধনের মুক্তি বর্মণের শিক্ষক-সহপাঠিরাসহ উপজেলার বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
নিহত মুক্তি বর্মণ বারহাট্টার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে ও প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য ছিল। ঘাতক কাউসার (১৮) একই গ্রামের সামছু মিয়ার মিয়া ছেলে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বারহাট্টা শাখার সভাপতি সাবেক শিক্ষক আফজল হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন একই সংগঠনের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ও চিরাম তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী, বাউসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুল হক, চল্লিশ কাহনীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, চিরাম তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসিন, রূপগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পুলক দত্ত, সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মুজিব আহমাদ, প্রেমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শ্যামল কুমার, নিশ্চিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
এতে ঘাতককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটকের জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ও বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত না করে দ্রুত বখাটে কাউসের ফাঁসির দাবি করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী বক্তারা।