নীলফামারী জেলার বিভিন্ন গ্রামে অনুমোদনহীন ভাবে অসাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই দেখার যেন কেউ নেই।
ঈদকে সামনে রেখে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ ও নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘরোয়া অসাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরি হচ্ছে। যা খেয়ে শিশুসহ প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যক্তিরা পেটের বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন। এমনি একটি সেমাই কারখানা ডোমার উপজেলার কেতকিবাড়ি ইউনিয়নের ঠাঠারী পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় নিজ থাকার বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন ছাড়াই খোলা সেমাই তৈরি করছে। এবিষয়ে কারখানা মালিক আব্দুল খালেকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমার কারখানার বিএসটিআইর অনুমোদন নেই। তবে স্যানিটারী অফিসার আল আমিন স্যার আমাকে সাস্থ্য বিধি মেনে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আমার কারখানাটি টিনের চাটিবেড়া হলেও কিছুটা পাকা করা হয়েছে। কারখানার শ্রমিকরা পরিস্কার থাকে। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা স্যানেটারী অফিসার আল আমিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি কারখানাটির ব্যাপারে জানি। তবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছি। একই চিত্র দেখা ডোমার,বোড়াগাড়ি ও গোসাইগঞ্জের সেমাই কারখানাগুলোতে দেখা গেছে। এমনই অপর আর একটি কারখানা রয়েছে ডিমলা উপজেলার রুপাহারা গ্রামে নয়ন সেমাইর মালিক দুলাল চন্দ্র তিনিও তার বাড়িতে তৈরী করছেন সেমাই। নয়ন সেমাই মোরক ব্যাবহার করলেও বাহির থেকে কেনা আল আমিন মোরক সহ বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের মোরক ব্যাবহার করছেন বলে জানা গেছে। অপর আর একটি সেমাই কারখানা কিশোরগঞ্জে উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের বৈতপাড়া গ্রামে বাড়ির ভিতরে সেমাই তৈরী হচ্ছে অসস্থ্যকর পরিবেশে। সেমাইর নাম দরবার সেমাই কারখানার মালিক এমদাদুল হক জানান আমার বিএসটিআইর কাগজপত্র আছে। অপর আর একটি কারখানা নতুন ভাবে সেমাই তৈরি করছেন নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা মাঝাপাড়া গ্রামে এটি কচুকাটা ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায়। এসব সেমাই কারখানার শ্রমিকের শরীর থেকে ঝর ঝর করে ঘাম ঝরছে। কারখানার আসবাবপত্র যন্ত্রপাতিতে ময়লা আর্বজনা অপরিস্কার ও ভেজাল তেলে ভাজা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। এরকম আর একটি খোলা সেমাই কারখানা নীলফামারী সদরের পলাশবাড়িতে পান্না বেকারি সেখানেও নেই কোন অনুমোদন, কারখানার মালিকপক্ষের নুরনবী বলেন, এবার প্রথম আমরা সেমাই তৈরি করছি অনুমোদন নাই ভ্যাটও দেইনা।
এসব অস্বাস্থ্যকর অনুমোদনহীন সেমাই কারখানা থেকে সরকার পাচ্ছে না কোন ভ্যাট ফলে সরকার হারাচ্ছেন রাজস্ব। অপরদিকে এসব ভেজাল সেমাই খেয়ে মানুষের পেটের পীড়া সহ নানা রোগে ভুগতে হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এলাকাবাসীর দাবি কারখানা গুলোতে প্রশাসন যেন সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়।