মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যাপক মো. ইসমাইল হোসেন (৫০) মৃত্যু বরণ করেছেন।
প্রায় এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। এর আগে গত ১ এপ্রিল রাতে কমলগঞ্জ- মৌলভীবাজার সড়কের বাসুদেবপুর গ্রামে তারাবি নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত একটি যানবাহনের ধাক্কায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। আহত অবস্থায় রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরদিন ২ এপ্রিল দুপুরে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবীর মায়া ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান। তিনি মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজেরা বেগমের স্বামী।
সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুর্শেদুর রহমান জানান, কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের একটি মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ পড়ে নিজের মোটরসাইকেলযোগে অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন গত ১ এপ্রিল রাতে বাসুদেবপুর গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সন্নিকটে আসার সময় পিছন দিক থেকে আসা দ্রুতগামী অজ্ঞাত কোন একটি যানবাহন ধাক্কা দিয়ে তাকে সড়কে ফেলে যায়। এসময় গুরুতর আহত হয়ে তিনি সড়কে পড়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা এসে দেখে এলাকাবাসীকে জানালে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পরদিন ২ এপ্রিল এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় সূজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যাপক মো. ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুতে তাঁর সহকর্মী, হাজারো শিক্ষার্থী, শুভাকাংখীসহ এলাকার সর্বস্তরের লোকজন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মরহুমের লাশ শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজে এনে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল সাড়ে ১১টায় বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হইবে।