স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় সরকারি খাস জমি আত্মসাৎ করে প্লট আকারে বিক্রির জন্য তাতে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য শ্রীচরণ সরকারের (ভোলা) বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ এনে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকজন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য (মেম্বার) শ্রীচরণ সরকার (ভোলা) উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার। তিনি কাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার (১ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুয়েল সাংমা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সহকারি কমিশনাকে (ভূমি) জানানো হয়েছে নায়েবকে পাঠিয়ে দেখার জন্য।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার অভিযোগ দেন এলাকাবাসীর পক্ষে প্রনজিত কুমার সরকার, হেমেন্দ্র সরকার, রবিন্দ্র, চিত্তরঞ্জন সরকার, স্বপন সরকার ও নিশিকান্ত।
অভিযোগে উল্লেখ, কাদিরপুর মৌজাস্থ ১নং খতিয়ানে বিআরএস ২০৯৮ দাগের ভূমিটি সরকারি সম্পত্তি। ভোলা মেম্বার নিজের পেশি শক্তি ও ক্ষমতাবলে অবৈধভাবে দখল করে আত্মসাৎ করেন। তাতে তিনি (ভোলা মেম্বার) প্লট আকারে বিক্রির জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর দ্বারা মাটি ভরাট করছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপির সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কল্লোল বিশ্বাস জানান, মেম্বারের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগের কথা শুনেছি। খালিয়াজুরীতে প্রায় ১০ হাত পরপর খাস জমি বিদ্যমান। গত শুক্রবার ও আজ (শনিবার) দুদিন অফিস বন্ধ থাকায় ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। রেকর্ড যাচায়ে সত্যতা পেলে লাল নিশান টানানো হবে।
২০৯৮ দাগের ভূমিটি খাস তা স্বীকার করে ইউপি সদস্য শ্রীচরণ সরকার (ভোলা) বলেন, বিগতদিনে স্থানীয় ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের সাথে দেনদরবার করে বসবাসে বাড়ি-ঘর করার জন্য রয়েলপুর ও কাদিরপুর মানুষদেরকে এই দাগের জমিটি দেওয়া হয়েছিল। তবে কাদিরপুরের তুলনায় রয়েলপুর গ্রামের পরিবারের সংখ্যাটা কম। বিগত দিনে এসিল্যান্ড সাহেবরা বাড়ি-ঘর করার জন্য অনুমতি দিয়েছে। সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছিল আমরাও আবেদনও করেছি। খালিয়াজুরীতে শুধু এই দাগ না, আরো চার-পাঁচটি গ্রামও খাস জমিতে গড়ে উঠেছে। তাছাড়া অভিযোগকারীদের অনেকে খাস জমিতেও বসবাস করেন এবং তা বিক্রিও করেছেন।
খালিয়াজুরীর সহকারি কমিশনার ভূমি (এসল্যান্ড) সামিম সারোয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল (রবিবার) গণশুনানী রয়েছে তাই সোমবার এলাকা পরিদর্শন ও যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।