প্রতি বছরের মতো এই বছরও রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে মেয়রের বাড়ির সামনে পরিবহন চালক, শ্রমিক ,যাত্রী, পথশিশু, অসহায়-দরিদ্র ও পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ।
ইফতারের এক ঘণ্টা আগে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইফতার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি ।
৮০ বছর বয়সি একবৃদ্ধা পথচারী জানায়, “গত কয়েক বছর রমজানের ইফতার আমি এখান থেকে নিয়েছি। এই বছরও এসেছি এখান থেকে ইফতার নিতে। মেয়রের ইফতার বাসায় নিয়ে আমার পরিবারের সবাই মিলে খাই “। এসময় বৃদ্ধা মেয়রের জন্য দোয়া করেন।
মহাসড়কের এক ট্রাকচালক বলেন, মহাসড়কের পাশে বেশিরভাগ মানুষ ব্যবসায় মগ্ন থাকে। এক গ্লাস পানিও কেউ বিনামূল্যে দিতে চায় না। সেখানে ভিন্ন কিছু দেখতে পাই ফেনীর মহিপালের এ জায়গার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখানে রোজাদারদের ইফতার করানো হয়। এমন উদ্যোগের জন্য তিনি মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরিবহনের যাত্রীরা বলেন, এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। যাত্রা অবস্থায় থাকা মানুষগুলো ইফতার নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন । কিন্তু এখন থেকে ফেনীর মেয়রের এমন উদ্যোগের কারণে এখান দিয়ে যাতায়াতকারীরা উপকৃত হবেন।
মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, রোজার মাসে যত বেশি মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় ততো বেশি সওয়াব পাওয়া। সেই চিন্তা থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ক্ষুদ্র আয়োজন। তাই প্রতিবছরের রমজানে মহাসড়করে পরিবহন চালক, শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে আমি ইফতার নিয়ে রোড়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকি। তাদের হাতে ইফতারের একটি প্যাকেট তুলে দিতে পারলে আমার নিজের কাছে স্বস্তি লাগে। আমি যতদিন বাঁচবো ততদিন এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো । এছাড়া তিনি আরো বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইফতারের পাশাপাশি এখানে সেহরির আয়োজনও করবেন ।
মেয়র আরও বলেন, প্রথম রমজানে আমরা ৫শ প্যাকেট দিয়ে শুরু করেছি। রমজান যত বাড়ে ততই প্যাকেটের পরিমাণও বাড়ে। ৫শ থেকে শুরু হয়েছে কয়েকদিন পরে ১ হাজার এরপর ১৫শ প্যাকেট পর্যন্ত আমরা এখানে বিতরণ করি। যত বেশি চাহিদা হবে তত বেশি আমরা দিব। যাতে করে কোনো মানুষ খালি হাতে না যায়।