বরগুনার পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যত্রতত্র ইজিবাইকস্ট্যান্ড ও মাঝপথে যাত্রী ওঠানো-নামানোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারী, স্থানীয় বাসিন্দাসহ যানবাহনের যাত্রীরা। বিশেষ দিনগুলোতে এ দুর্ভোগ আরও বেড়েই চলেছে।
এসব ইজিবাইক যাত্রীদের অপেক্ষায় বাজারের যত্রতত্র দাঁড়াচ্ছে। আবার যাত্রী উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলছে। অদক্ষ চালক ও দ্রুতগতির কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত এসব বেপরোয়া ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তাঁদের দাবি,ইজিবাইকগুলো যেন নির্ধারিত স্ট্যান্ড থেকে চলাচল করে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,বরগুনা পৌর শহরের আলিয়া মাদরাসা,লাকুরতলা ও কাঁচা বাজার আড়ৎ ও পৌরসভার সামনে রয়েছে ইজিবাইকস্ট্যান্ড। এ সব স্ট্যান্ড থেকে সদরের দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ইজিবাইকগুলো।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে চালকেরা ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে রাখায় প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া প্রতি হাঁটের দিন ইজিবাইক, অটোবাইক ও অটোরিকশার জটে পড়ে নাকাল হন হাটের ক্রেতা-বিক্রেতা।
এ নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে স্ট্যান্ড ছাড়া যেসব রিক্সা গুলো বাজারে যানজট তৈরি করে তাদের কে ভিন্ন ভিন্ন স্ট্যান্ড করে দেওয়া হোক না হয় যেসব স্ট্যান্ড আছে সেগুলোর সাথে সম্পৃক্ত করে দেওয়ার দাবি তাঁদের।
সদর রোডের ব্যবসায়ী মাসুম, আল আমিন, মামুন সহ অনেকেই বলেন, মেইন সড়কের সামনেই ইজিবাইকস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। সব সময় গাদাগাদি করে থাকে ইজিবাইকগুলো। পথচারীদের চলাচলে চরম সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুরবস্থা চললেও প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই। শহরের মাঝখান থেকে ইজিবাইকস্ট্যান্ডটি অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান তিনি।
পৌর মেয়র অ্যাড.কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, শহরের মধ্যে ইজিবাইকস্ট্যান্ড হওয়ায় ব্যবসায়ীসহ শহরে চলাচলকারীদের প্রতনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তিনি দ্রুত ইজিবাইক স্ট্যান্ডগুলো অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যাবস্থা করা হবে।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওসার আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও শহরবাসীর অসুবিধা নিরসনে ইজিবাইক স্ট্যান্ডগুলো দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।