ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার সরকারি শিশু পরিবার( বালিকা) কর্মরত কর্মচারী রাহিমা আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির রিপোর্ট দেয়ায় উল্টা বিপদে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপতত্ত্বাবধায়ক জিয়াবুল হোসেন। জানা যায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কর্মচারি রাহিমা আক্তার এর নেতৃত্বে চলছে শত শত এতিম শিশুদের নামে বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর হরিলুট কর্মকান্ড।
তার কর্তব্য কাজে অবহেলা,অনিয়ম ও দূর্নীতির জন্য গত ২০/১২/২০২২ তারিখের মিটিং এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি, জেলা প্রশাসক ভোলা মহোদয়ের স্বাক্ষরিত রেজুলেশন এর আলোকে ও সরকারি শিশু পরিবার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০২ এর ১৭(ক) এর ৭ নং উপধারা অনুযায়ী কর্মচারী রাহিমা আক্তার ও তার দূর্নীতি অপকর্মে সহায়তাকারী অফিস সহকারি হরিচান বেপারী এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট গত ৫/০১/২০২৩ তারিখে সকালে রিপোর্ট প্রেরন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা জিয়াবুল হোসেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ঐদিন বিকেলেই তাকে বদলি করে দেয়া হয়।
এতে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দূর্নীতিবাজ দের বাঁচাতেই এ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়। যার ফলে গত ১৯/০১/২০২৩ তারিখে তার বদলির আদেশ বাতিল করা হয়।
কিন্তু এতে কর্মচারী রাহিমা আক্তার ও তার সহযোগী হরিচান বেপারী নিজেদের বাঁচাতে সুকৌশলে দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করে উপরস্থদের বিভিন্ন কৌশলে ম্যানেজ করে।
এ বিষয়ে উপতত্ত্বাবধায়ক জিয়াবুল হোসেন বলেন আমার বিরুদ্ধে তারা আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কৌশলে ম্যানেজ করে ও ভুল বুঝিয়ে নিজেদের বাঁচাতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ও মনগড়া বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছে। ৫ তারিখ বিকেলে বদলি করার আগ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তো দূরে থাক একটি শোকজ ও ছিলোনা।আমি বিরাট এক দূর্ণীতিবাজ চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার। কর্তৃপক্ষকে একটা কথাই বলবো আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক এবং আমার সমগ্র প্রতিষ্ঠানটি ১৬ টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রয়েছে তা থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করা হোক।
অসহায় এতিমের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারের লাখ লাখ টাকা ১৭ বছর ধরে লুটপাট করছে একাধিক কর্মচারীদের শক্ত সিন্ডিকেট। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমার ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যর সাথে আলোচনা করে দুর্নীতিবাজ দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলাম এখন তারাই উল্টা আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে । আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সকলের কাছে এর সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দুই কর্মচারীর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, এই জন্য তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।