সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নিয়োগ পরীক্ষার ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও নিয়োগ পাচ্ছেন না তিন প্রার্থী। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট নিরাপত্তা কর্মী, নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় নিরাপত্তা কর্মী পদে মো. সজিব মিয়া, নৈশ প্রহরী পদে মো. শরিফুল ইসলাম এবং আয়া পদে সারুল আক্তার প্রথম হন।
নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ডিজির প্রতিনিধি তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বর্তমানে পিআরএল) আব্দুল কুদ্দুছ জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র সভাপতিকে নিয়েই স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে। ফলাফল সীটে আমরা নিয়োগ বোর্ডের ৪ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছি।
তবে এ বিষয়ে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমির শাহ বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার পর তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বলেছেন,পুন: নিয়োগ আহবান করার জন্য। প্রধান শিক্ষক কেন পূণ:নিয়োগ আহ্বান করছেন না বিষয়টি তার বোধগম্য নয় বলে জানান। তিনি আরও জানান, তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে এটিতে স্বাক্ষর করবেন না।
বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার তৈরীকৃত প্রশ্নপত্রে স্বাক্ষর করে সভাপতি নিজে পার্শ্ববর্তী বাদাঘাট বাজারে গিয়ে ফটোস্ট্যাট করে নিয়ে আসেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাও যথারীতি সুন্দরভাবে হয়েছে। নিয়োগ কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে আমরা ৪ জনই স্বাক্ষর করেছি। নিয়োগ কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর না করায় এটি এখনো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
নৈশ প্রহরী পদে প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম রানা বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও তিনি নিয়োগ পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় তাহার হতাশার মধ্যে দিনকাল যাচ্ছে বলে জানান।
এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল সীটে নিয়োগ বোর্ডের ডিজি’র প্রতিনিধি,প্রধান শিক্ষক,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও অপর সদস্য লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদিতে স্বাক্ষর না করা এটি অন্যায়ের সামিল হয়েছে।