জোবায়ের হোসেন রিহান, ফেনী: শীতেকালেও লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না সোনাগাজীর ৩ লক্ষাধিক বাসিন্দারা।
সোনাগাজীতে দৈনিক চাহিদা ৮ মেগাওয়াট, জাতীয় গ্রীড থেকে আমরা পাচ্ছি মাত্র ৩ মেগাওয়াট। শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কমলেও হঠাৎ করে বেড়েছে লোডশেডিংয়ের তীব্রতা। গত তিন-চারদিন ধরে সোনাগাজীর ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় সকাল হতে রাত অবধি প্রায় ৮-থেকে – ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের কয়েকটি পাওয়ার ষ্টেশনে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ জনগণ পাচ্ছে না। এতে সোনাগাজী উপজেলায় লোডশেডিং বেড়েছে। তবে দু-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।
বখতারমুন্সী বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রিয়াদ বলেন, গত তিন-চারদিন ধরে দিনে ৪/৫ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। প্রতিবার এক ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। গতকাল রবিবার সারাদিনে ১ঘন্টা কারেন্ট ছিল। শীত মৌসুমে এমন লোডশোডিং আগে কখনো হয়নি।
সোনাগাজী বাজার সমিতির সভাপতি মো. নুরনবী বলেন, গরমের সময়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায় একেবারে মন্দা ছিলো। এখন শীত মৌসুমেও শুরু হয়েছে লোডশেডিং। দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে অনেক ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সোনাগাজী জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী সনদ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা জেনেছি কয়েকটি পাওয়ার ষ্টেশনে ‘মাইনর মেইনটেন্যান্স’ এর কাজ করার কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ আছে যার কারনে আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছিনা। বর্তমানে আমরা জাতীয় গ্রীড থেকে আমাদের চাহিদার ৪০% বিদ্যুৎ পাচ্ছি। আমাদের চাহিদা বেশি কিন্তু বরাদ্দ কম। এ জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন সোনাগাজী উপজেলায় বিদ্যুৎ এর চাহিদা দৈনিক ৮ মেগাওয়াট, জাতীয় গ্রীড থেকে আমরা পাচ্ছি মাত্র ৩ মেগাওয়াট, বাধ্য হয়ে আমাদের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আশা করি কয়েকদিন পর লোডশেডিং কমে যাবে।