আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে চলা যুদ্ধের ১১ মাসে এসেও স্বস্তিতে নেই প্রেসিডেন্ট পুতিন। কোনও পরিকল্পনাতেই জয়ের মুখ দেখছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এদিকে পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তায় দিনে দিনে আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এমন বাস্তবতায় ইউক্রেনে আগ্রাসনে জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে নতুন কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) নতুন কমান্ডার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগো। ইউক্রেন যুদ্ধের ১১তম মাসে এসে আবারও কমান্ডার পরিবর্তন করলো মস্কো। যুদ্ধে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে এর আগেও একাধিক কমান্ডার পরিবর্তন করে দেশটি।
গত অক্টোবর থেকে ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় হামলা চালানোর অভিযোগে রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ব্যাপক সমালোচনা হয়। কিন্তু সুরোভিকিনের নেতৃত্বে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানো অবকাঠামোতে হামলা চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এতে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ অন্ধকারে ডুবে যায়। যুদ্ধে বেসামরিক স্থাপনায় হামলার ফলে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলে পশ্চিমাদের।
এ প্রসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমানে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো, ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনীর ‘শীর্ষ কমান্ডার’। পুতিন প্রশাসন বলছে, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখার মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য কমান্ডার পরিবর্তন করা হয়েছে। রুশ বাহিনীর ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা ও মান বাড়াতে এই পদক্ষেপ।
কিন্তু ইউক্রেনের মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে মস্কোর ধারাবাহিক সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিফলনই হলো নতুন কমান্ডার নিয়োগ। সূত্র: রয়টার্স