ইবি প্রতিনিধি:
বিদেশি অধ্যাপকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করা সেই সনদ পাচ্ছেন না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক সহ-সমন্বয়ক ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জালিয়াতি করা সেই সনদ পাচ্ছেন না বলে নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিন্সের এক অধ্যাপকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে একটি ভুয়া চাকরির প্রস্তাবপত্র (অফার লেটার) তৈরি করেন নাহিদ হাসান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে পরিকল্পিতভাবে এই নকল নথি উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই জালিয়াতির অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার মূল সনদ আপাতত প্রদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, নিজের মূল সনদ উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে নাহিদ হাসান ওই জাল অফার লেটার তৈরি করেন। নথিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিন্সের অর্থনীতি ও অর্থসংস্থান বিভাগে তিনি ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (টিএ) পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
নথি অনুযায়ী তার কর্মকাল শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৪ আগস্ট ২০২৬ থেকে এবং শেষ হওয়ার কথা ১৩ মে ২০২৭ পর্যন্ত। এতে আরও উল্লেখ করা হয় তিনি বাৎসরিক ১৮ হাজার মার্কিন ডলার স্টাইপেন্ড পাবেন। পাশাপাশি ফুল-টাইম গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী হিসেবে তালিকাভুক্তি এবং নন-রেসিডেন্ট ফি মওকুফের সুবিধার কথাও সেখানে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ বিষয়ে সাবেক সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, “ভুল পদ্ধতিতে সনদ উত্তোলনের চেষ্টা করার কারণে আপাতত মূল সনদ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে সঠিক নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন। অন্যথায় সমাবর্তনের সময় মূল সনদ সংগ্রহ করবো।”
ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “জালিয়াতির মাধ্যমে মূল সনদ সংগ্রহের যে চেষ্টা করা হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। তিনি যদি বৈধ ও আইনসম্মত কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে তার সনদ প্রদান করা হবে। অন্যথায় তাকে সমাবর্তনের সময় মূল সনদ গ্রহণ করতে হবে। যে নিউজটা করা হয়েছে, ওটা তারা ভুল বুঝে নিউজ করেছে।”


