আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বহু প্রতীক্ষিত বিজয় অর্জন করি। বিজয়ের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের ও দু’লক্ষ মা-বোনদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, যুদ্ধাহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। মহান বিজয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি সকলকে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। লাল-সবুজের এ পতাকা অর্জনের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীন সত্ত্বা সম্পূর্ণতা পায়। পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে ১১ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত নেত্রকোণা জেলায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস। সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোণার মানুষও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন, জীবন বাজি রেখেছেন, আত্মাহুতি দিয়েছেন। ২৯ এপ্রিল হানাদার বাহিনীর প্রবেশ ঘটে নেত্রকোণায়। পরবর্তীতে প্রশিক্ষিত গেরিলা যোদ্ধারা ধীরে ধীরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নেত্রকোণা জেলা জুড়ে। ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ দুর্গাপুর মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে শুরু হওয়া বিজয় যাত্রার সমাপ্তি হয় ৯ ডিসেম্বরে চূড়ান্তভাবে নেত্রকোণা মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে। বিজয়ের ৫৫তম বছরে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে নেত্রকোণাবাসী বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরে আত্মনিয়োগ করবে- এই হোক মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।
→ মো. সাইফুর রহমান, জেলা প্রশাসক, নেত্রকোনা।
