নিজস্ব প্রতিবেদক: “মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে জড়িত যারা, তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসা আমাদের পক্ষে সম্ভব ন”- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা বর্জন করে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় মোহনগঞ্জ উপজেলার প্রশাসনে আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার অডিটোরিয়ামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা শুরু হয়। তবে এ সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা আলোচনা সভা বর্জন করে বেরিয়ে যান।
পরে শহরের স্টেশনরোড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হল কক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ার প্রতিবাদেই তাঁরা আলোচনা সভা বর্জন করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসা আমাদের পক্ষে কখনো সম্ভব নয় এবং এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপোষ করবেন না মুক্তিযোদ্ধারা।”
মুক্তিযোদ্ধারা আরও জানান, “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতের নেতাদের না রাখার জন্য আগে থেকেই তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে সেই অনুরোধ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের যুগ্ম-আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক মাহবুব ও মোহনগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলী চৌধুরী (হীরা)।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহবায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন এ বিষয়ে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা সভায় কিছুটা দেরিতে পৌঁছানোর কারণে তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ার রাখা হয়েছিল। তবে তাঁরা বসতে না চেয়ে ব্যস্ততার কথা জানিয়ে হলরুম ত্যাগ করেছেন বলে জানান তিনি।


