নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তি: সচেতনতা ও সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), নেত্রকোনা কেন্দ্রের ‘অ্যাডভান্সিং ইক্যুয়ালিটি অব উইমেন অ্যান্ড মার্জিনালাইজ্ড পিপ্ল’ (আওয়াম) প্রকল্পের উদ্যোগে নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়া ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের শুরুতে নিবন্ধন ও অভ্যর্থনা জানান বিএনপিএসের কল্পনা ঘোষ ও শাহজাদী বেগম এবং সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপিএসের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিএনপিএসের সহকারি সমন্বয়কারী সিথী ঘোষ।
এরপর সেশন শুরু হয় নির্ধারিত আলোচকবৃন্দের বক্তব্য দিয়ে। আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ড. মুহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম এবং মাহফুজা মাহবুব; উভয়েই নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র-উপদেষ্টা। তারা বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে জেন্ডার ভিত্তিক বৈষম্য দূর করা সম্ভব। অনুষ্ঠানে বক্তারা তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার, অনলাইন নিরাপত্তা, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ এবং নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তিগত প্রবেশাধিকারের উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আজ সম্ভাবনা, অগ্রগতি ও মানবকল্যাণের এক বিস্তৃত দিগন্ত উন্মোচন করেছে। জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় প্রযুক্তির ন্যায্য, দায়িত্বশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের সময়ের এক অবশ্যম্ভাবী অঙ্গীকার।’
মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এই পরিবর্তনের শক্তি নিহিত।’
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তারা জানান, এরকম বিষয়ভিত্তিক সেমিনার তাদের বাস্তব শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপিএসের নেত্রকোনা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি চক্রবর্তী।


