দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি-
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হকের বিরুদ্ধে সোলার সেচ প্রকল্পের কাজের নামে কৃষকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সম্প্রতি কৃষি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী ও তার ফুপাতো ভাই আলাল মিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তুলে ধরেন। কৃষক হাসান আলী বলেন, আমার ফুপাতো ভাই আলাল মিয়ার নামে সোলার সেচ পাম্পের কাজ আসে।
এরপর কৃষি অফিসে যোগাযোগ করি তারপর ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল হক কাজের খরচের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকার মধ্যে কথামতো হাতে-হাতে ৩০ হাজার টাকা এবং গত ১০ নভেম্বর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আরও ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য হয়। পরে আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হলে এরপরই লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, আমি জানতে পারি যে এই কাজ সরকারি এবং এর জন্য কোনো টাকা লাগে না। এজন্যই আমি অভিযোগ করেছি। কৃষক আলাল মিয়া বলেন, সরকারি কাজ কোনো টাকায় লাগে না।
কিন্তু রায়হান স্যার ১ লাখ টাকা চেয়েছে, এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমাদের টাকা ফেরত চাই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের গত ২ জুন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিপা বিশ্বাস ছুটিতে যান। সেই দায়িত্বভার অস্থায়ীভাবে গ্রহণ করেছিলেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল হক। তার দায়িত্ব পালনকালে এই ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে, যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি করেছে। তার দায়িত্বকাল শেষ হবে আজ ২ ডিসেম্বর।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে রায়হানুল হককে পাওয়া যায়নি। অফিস সূত্র জানায়, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার কথাও প্রতিবেদককে বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা জানেন আমি কেমন ধরনের অফিসার। এ বিষয়ে নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


