জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাসে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ‘জকসু–২০২৫’। এ নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত “অদম্য জবিয়ান ঐক্য” প্যানেল থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নাহিদ হাসান রাসেল। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিতর্ক ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নাহিদ হাসান রাসেল সমাজকর্ম বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নেতৃত্বমূলক সংগঠনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সোশ্যাল ওয়ার্ক ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির পুরস্কারপ্রাপ্ত সক্রিয় বিতার্কিক ছিলেন। বিতর্ক অঙ্গনের পাশাপাশি রোভার স্কাউটের কর্মকাণ্ডেও তার ব্যাপক সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপে সদস্য হিসেবে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে সিনিয়র রোভারমেট ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
রোভার স্কাউট গ্রুপের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ‘শিকড়’-এর সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’-এর সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও আয়োজনে তার সক্রিয় উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। অংশ নিয়েছেন আন্তঃজবি রোভার স্কাউট আন্তঃইউনিট বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২২, সোশ্যাল ওয়ার্ক ডিবেটিং ক্লাব আয়োজন করা আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫ এবং ছাত্রশিবির আয়োজিত শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫–এ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আন্দোলনেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাসেল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার আন্দোলন, হল আন্দোলন, আবাসন ভাতা আন্দোলন, জকসু চাই আন্দোলন থেকে শুরু করে আলোচিত ‘যমুনা ঘেরাও’ আন্দোলন সব জায়গাতেই ছিল তার সক্রিয় উপস্থিতি। জকসু নির্বাচনের অনুপ্রেরণার কথা জানিয়ে রাসেল জানান, “আমি সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার, সংস্কৃতি চর্চা এবং যুক্তিবোধের বিকাশে কাজ করেছি। জকসু শুধু একটি নির্বাচন নয় এটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি।
জাতিকে সঠিকভাবে গঠনের জন্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। যদি দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাই, তাহলে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরও বিস্তৃত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালী করার চেষ্টা করব। ক্যাম্পাসকে আরও সৃজনশীল ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলাই আমার মূল লক্ষ্য।”
