স্টাফ রিপোর্ট:
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্যোগে রোববার সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইন ও বিচার বিভাগে “আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫” ও “আইনগত সহায়তা প্রদান (আইনি পরামর্শ ও মধ্যস্থতা) বিধিমালা” বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল অব ল’-এর ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ শেখ আশরাফুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসরাত ইবনে ইসমাইল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, “মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি কেবল শিক্ষাদানেই সীমাবদ্ধ নয়; সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে দায়িত্বশীল অবদান রাখার প্রতিও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারি আইনগত সহায়তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা সময়োপযোগী উদ্যোগ।” সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান বলেন, “আইন শিক্ষার লক্ষ্য শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়; সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বাস্তব ভূমিকা রাখা জরুরি।
এ ধরনের সেমিনার শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা ও নৈতিকতার দিগন্ত উন্মোচন করে।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, “নামাজ, রোজা ও দানের চেয়েও দ্বন্দ্বমান দুই পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেওয়া আরও বড় ইবাদত।” সেমিনারের মুখ্য আলোচক ছিলেন সিলেটের সিনিয়র সিভিল জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বিশ্বেশ্বর সিংহ। তিনি বলেন, “সরকারি আইনগত সহায়তা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশ ও বিধিমালার মাধ্যমে সেবা এখন আরও সহজলভ্য হয়েছে এবং জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।” তিনি আরও জানান, সিলেটসহ প্রকল্পভুক্ত ১২ জেলায় পারিবারিক বিরোধ, ভরণপোষণ, বাড়িভাড়া, অগ্রক্রয়, বণ্টন ও যৌতুক–সংক্রান্ত অভিযোগে মামলার আগে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতা চালু করা হয়েছে। সেমিনারে আইন ও বিচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান শের-ই-আলম, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. তারেক মিয়া।
