জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে “মুক্তিযুদ্ধ ও গনতন্ত্র” পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খায়রুল হাসান আকাশ। রোববার (১৬ নভেম্বর) শহীদ সাজিদ ভবনের নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল হাসান আকাশ জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে, এটি কোনো অংশেই উৎসবের চেয়ে কম নয়। সেই উৎসবে অংশ নেওয়াটাই আমার প্রাথমিক লক্ষ্য।
আমার নির্দিষ্ট কোনো দল বা প্যানেল নেই; সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্যানেলই আমার প্যানেল।” তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র’ বিষয়ক পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ৪৭-এর দেশবিভাগ, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ২৪-এর ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন একই সূত্রে গাঁথা। প্রতিটি আন্দোলনেই সাধারণ মানুষের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির গল্প ফুটে উঠেছে।
এই চেতনাতেই আমি এগিয়ে যেতে চাই।” আকাশ আরও বলেন, “জিততেই হবে এমনটা ভেবে দাড়াইনি, তবে শিক্ষার্থীরা যদি আমাকে এই সুযোগ দেয়, আমি নিজেকে প্রমাণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত। সেশনজট, আবাসন, নতুন ক্যাম্পাস, পরিবহনসহ প্রতিটি সেক্টরে ছোট-বড় সব সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধান করব ইনশাআল্লাহ।
” তিনি যোগ করেন, “সুযোগ না পেলেও, শিক্ষার্থীরা যাকে নির্বাচিত করবে, তার মাধ্যমে জবির সকল সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব। আশা করি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।” এদিকে জকসু নির্বাচনের সময়সূচি অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ১৬–১৭ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ চলছে। ১৭ ও ১৮ নভেম্বর দাখিল করা মনোনয়নপত্র ১৯–২০ নভেম্বর বাছাই করা হবে। ২৩ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ২৪–২৬ নভেম্বর আপত্তি গ্রহণ করা হবে।
২৭ ও ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হবে। ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর, এবং ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহার তালিকা প্রকাশিত হবে। এরপর ৯–১৯ ডিসেম্বর চলবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর এবং ২২–২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
