নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের আয়োজনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদের স্মরণে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে। পরে ১৩ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
‘মিসির আলি, হিমু মামা’- এই প্রতীকী চরিত্রকে কেন্দ্র করে আলোচনায় বক্তারা হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যকর্ম, জীবনবোধ ও মানবপ্রেমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আলোচনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার, এসিল্যান্ড নাঈম উল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা ইউনুস জামান রনি, রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আবুল হোসেন ভুইয়া, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তফা কামাল বাবলু ,বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় সাহিত্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিরা অংশ নেন।
পরে শিক্ষার্থীরা হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় নাটক ও উপন্যাস অবলম্বনে নাট্য পরিবেশনা, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে একটি প্রাণবন্ত কুইজ প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ আমাদের কল্পনাশক্তিকে নতুনভাবে চিনতে শিখিয়েছেন। তরুণ প্রজন্ম তাঁর সাহিত্য ও চিন্তাধারার ভেতর দিয়ে মানবিকতা ও সৃজনশীলতা অর্জন করুক—এটাই আমাদের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।”
অনুষ্ঠানে স্কুল কর্তৃপক্ষ শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে ‘হুমায়ূন মঞ্চ’ নির্মাণের দাবি জানান। এ সময় কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার তাদের এই যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম আরও গভীরভাবে পৌঁছে যাবে এবং তাঁর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আগামী প্রজন্মের চিন্তায় অনুপ্রেরণা যোগাবে।
