গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী এখন শরৎকাল। দরজায় কড়া নাড়ছে হেমন্তের নবান্ন। প্রকৃতি এখন শান্ত ও নীরব। নদী-নালা, খাল-বিলের পানিও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিনের বেলাতেও তাপমাত্রা কিছুটা কমছে। শীত আসতে আর বেশি দেরি নেই—এরই ইঙ্গিত দিচ্ছে সকালের কুয়াশা। জেলাজুড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে দেখা মিলছে মিষ্টি রোদের।
সবুজ ঘাস আর আমন ধানের পাতায় বিন্দু বিন্দু শিশির কণা ঝরছে, যা মনে করিয়ে দিচ্ছে—শীত আসন্ন। শরতের বিদায় হতে না হতেই হেমন্তকে পাশ কাটিয়ে যেন আগাম আগমন বার্তা দিচ্ছে শীত। ভৌগোলিক অবস্থান ও ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে গেল এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর থেকেই আকাশ থেকে যেন বৃষ্টির পানির মতো শীত ঝরছে। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দেখা মিলছে ঘন কুয়াশার। শীতের আগমনে প্রান্তিক চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আগাম সবজি চাষে। প্রতিদিন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকরা।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লাল শাক ও মুলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত তারা। ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশা দেখা গেছে। বিভিন্ন গাছের ডগা ও ধানক্ষেতেও শিশির জমে থাকতে দেখা গেছে। রাতে এখন সব বয়সের মানুষ হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন। আগাম শীতের আগমন দেখে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, পূর্ণ শীত মৌসুমে তীব্রতা আরও বেড়ে যাবে।
সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের আরিফ খাঁ এলাকার কৃষক মঞ্জুর রহমান বলেন, “দুই–তিন সপ্তাহ আগেই আমরা বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউসহ বিভিন্ন শীতকালীন ফসল রোপণ করেছি। গেল এক সপ্তাহ ধরে আমাদের এলাকায় শীত দেখা যাচ্ছে। রাতে হালকা কাঁথা গায়ে দিতে হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেখি চারদিকে ঘন কুয়াশা, ঠান্ডাও লাগে। তবে মাঠে কিছুক্ষণ কাজ করলে ঠান্ডা কেটে যায়।” গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সেলের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, “আজ ভোরে ২৩.৪০ ডিগ্রি সেলিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ।