ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হলে ডাইনিংয়ে ভর্তুকি বৃদ্ধি, মেধা-সিনিয়রিটির ভিত্তিতে সিট বণ্টনসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে হল শাখা ছাত্রশিবির।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি। এ সময় ইবি ছাত্রশিবিরের হল শাখার সভাপতি তানজিল হোসাইন সহ কয়েকজন দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন।
তাদের দাবিগুলো হলো—
১. হল ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ভর্তুকি বৃদ্ধি, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত ও ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা।
২. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য প্রতিটি ব্লকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা।
৩. সাপ ও মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় স্প্রে কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করা।
৪. অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রতিটি ব্লকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (Fire Extinguisher) স্থাপন করা।
৫. ওয়াশরুমগুলো সপ্তাহে অন্তত দুইবার পরিষ্কার করা এবং প্রতি দুই মাস পর পর ক্যামিক্যাল প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করা। প্রয়োজনের আলোকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী বৃদ্ধি করা।
৬. হলের আশপাশের ঝোপঝাড় ও ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং ফ্লোরে স্থাপিত ময়লায় ঝুড়ি নিয়মিত পরিষ্কার করা।
৭. হল মসজিদে উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করা এবং প্রতি তিন মাস অন্তর মসজিদের ফ্লোর সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করা।
৮. রিডিং রুমে পর্যাপ্ত আসন বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক এসি স্থাপন করা।
৯. হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিন স্থাপন করা।
১০. গেস্টরুম সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
১১. শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্য ইনডোর গেমস বৃদ্ধি এবং ক্রিকেট, ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
১২. হল ভবনের ছাদ সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করা এবং পানির টাংকি নিয়মতি পরিষ্কারে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৩. হল অফিসের অভিযোগ খাতায় লিখিত অভিযোগগুলো নিয়মিত দেখা এবং দ্রুত সমাধান করা।
১৪. দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন এলোটমেন্ট প্রদান এবং মেধা ও সিনিয়রিটির ভিত্তিতে সিট বণ্টন নিশ্চিত করা।
১৫. হলের গণরুম ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে বাতিল করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা।
হল শাখা সভাপতি তানজিল হোসাইন বলেন, “আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে হল সংস্কারের লক্ষ্যে নানাবিধ প্রস্তাবনা নিয়ে প্রভোস্ট স্যারের সাথে কথা বলেছি। তিনিও আমাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনায় বসেছেন। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার আলোকে বেশকিছু সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে হলে কিছু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করায়, আমরা স্যারের নিকট ১৫ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ করেছি। স্যার আমাদেরকে দফাগুলো বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা প্রত্যাশা করছি, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে দ্রুত সময়ের মধ্যে যৌক্তিক প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করবে, ইনশাআল্লাহ।”
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন, আমরা সবই করার জন্য প্রস্তুত। আমাদের হল পুরো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর জন্য মডেল হয়ে উঠবে। ইনশাআল্লাহ।”
