ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় এক কৃষকের চাষ করা পাকা ধান কেটে নেওয়া ও বাধা দিতে গেলে কৃষক পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলমগীর চৌকিদারের বাড়ির সংলগ্ন বিলে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন রসুলপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মৃধা, তার ছেলে মাজেদ মৃধা, বাছেদ মৃধা ও ভাই সালাউদ্দিন মৃধা। আহত কৃষক হুমায়ুন জানান, তার বাবা মৃত শাহাদাত হোসেন ১৯৭১ সালে সেরাজল হকের কাছ থেকে তিন একর জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে পরিবারটি জমিটি চাষাবাদ করে আসছে। চলতি মৌসুমে ওই জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলেন তিনি।
হুমায়ুনের অভিযোগ, শনিবার সকালে আলাউদ্দিন মৃধা গংরা ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে জমিতে ঢুকে জোরপূর্বক ধান কেটে নেয়। এ সময় তারা প্রায় ১৫০টি সুপারির চারা উপড়ে ফেলে, বসতঘর ভাঙচুর করে ও ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়। তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে তার ভাতিজা মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে হুমায়ুনের ভাই হাবিবুর রহমান, লোকমান, নুরনাহার, কুলসুম, নয়ন ও শাহারু বেগম ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হুমায়ুন পরিবার ওই জমি ভোগদখল করে আসছে।
তবে জমি দখলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ তাদের ওপর বারবার চাপ সৃষ্টি করছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষ এই দখলচেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযুক্ত আলাউদ্দিন মৃধার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে বাছেদ মৃধা বলেন, “জমিটি আমাদের নিজস্ব। আমরা নিজেদের ধানই কেটেছি। সেখানে কোনো ঘর ছিল না, হামলার ঘটনাও সত্য নয়।” দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এরশাদুল হক ভুঁইয়া জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দু’পক্ষকে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে।
