ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে সাত দফা দাবি জানিয়েছে ইবি শাখা ছাত্রদল। একই সঙ্গে আগামীকালের মধ্যে সাজিদ হত্যার বিচারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এসব দাবিসংবলিত এক স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি। স্মারকলিপি জমা শেষে উপাচার্যের দফতর থেকে স্লোগান দিতে দিতে বের হন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা “অবৈধ নিয়োগ বোর্ড, মানি না–মানবো না”, “আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই”, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে”—সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
স্মারকলিপিতে সাতটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— ভর্তি কার্যক্রমসহ সকল প্রকার ফি ও পেমেন্ট অনলাইনে প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করা, সনদপত্র ও নম্বরপত্র অনলাইনে উত্তোলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আধুনিক মেশিনারিজ সংযোজন ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বা নিকটবর্তী স্থানে ফায়ার সার্ভিসের সাবস্টেশন স্থাপন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ এবং কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, জিমনেশিয়ামে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ও নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, নিয়োগ বোর্ডকে ফ্যাসিস্টমুক্ত ও দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখা, আবাসিক হল ও খাবার দোকানগুলোতে মানসম্মত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা।
এসময় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম। আরো ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ছাত্রদল নেতারা মৌখিকভাবে বলেন, “আগামীকালের মধ্যে সাজিদ হত্যার বিচারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে আগামীকাল থেকেই ক্যাম্পাস শাটডাউন করা হবে।” তারা ফ্যাসিস্টমুক্ত নিয়োগ বোর্ড গঠন ও সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারেরও দাবি জানান তারা।
এছাড়াও স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, “উল্লিখিত দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। ইবি ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন এসব দাবির বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে, যাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি সুন্দর ও শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।”
শাটডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি আগামীকাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিআইডির বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।