নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শ্রীকান্ত সরকার (৪৫) ও (ছদ্ধ নাম) মোসাম্মত সেফালি আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
অভিযুক্ত শ্রীকান্ত সরকার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মৃত সূর্যকান্ত সরকারের ছেলে। তিনি এক বছর আগে কেন্দুয়ার সান্দিকোনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরআগে তিনি ১৫ বছর ধরে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। বিবাহিত শ্রীকান্ত দুই সন্তানের জনক, তার স্ত্রী গীতা বিশ্বাস কমলাকান্দা উপজেলার পাবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অপরদিকে সেফালি আক্তার (ছদ্ধ নাম) পূর্বধলা উপজেলার খলিসাপুর ইউনিয়নের নবী নেওয়াজের মেয়ে। তিনি পাঁচ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চার সন্তানের জননী হিসেবে একা বসবাস করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় শিউলি আক্তার প্রেমিক শ্রীকান্তের সঙ্গে দেখা করতে কেন্দুয়ায় আসেন। এরপর তারা সান্দিকোনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভাঙাচোরা ভবনের একটি কক্ষে টানা তিন দিন অবস্থান করেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা দুজনকেই আটক করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সান্দিকোনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন কোনো চিকিৎসা কার্যক্রম না থাকায় ভবনটি শ্রীকান্ত ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন। সেখানে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনেরও অভিযোগ রয়েছে।
খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রীকান্ত ও শিউলিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কেন্দুয়া থানার এসআই ইমন পাল বলেন, দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অনৈতিক কাজের দায়ে নারীসহ এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান বলেন, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শ্রীকান্ত সরকার দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের জন্য একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। বিষয়টি আগেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।