বকশীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকাউরিয়া পাখি মারা এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ, হামলা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি অসহায় পরিবার। রবিবার (১২ই অক্টোবর) সকাল ১১ টায় ভুক্তভোগী মোঃ হুমায়ুন মিয়া ও তার পরিবার নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোঃ হুমায়ুন মিয়া পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছিলেন।
কিন্তু তার আপন সহদর ভাই, মোঃ সবুজ মিয়া (৫০), শফিকুল ইসলাম(৪৩), স্বাধীন(২২), সেলিম মিয়া(৪০), জাহানারা বেগম(৪০), মিল্লাত মিয়া(৪০), ফুলেরা বেগম (৫০),শাহিদা বেগম(৩০) স্বর্ণালী বেগম(২৮) সহ জোরপূর্বক তার জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা হুমায়ুনের বাড়ি ভাঙচুর এবং তাকে সহ তার পরিবারকে মারপিট শুরু করে জমিতে থাকা গাছপালা নষ্ট করে ফেলে এবং ঘরের ভেতর ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
ঘরেতে থাকা টাকা এবং স্বর্ণ অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাধা দিতে গেলে হূমায়ন ও স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় ফলে হুমায়ুনের মুখেরদাঁত ভেঙ্গে যায় ও তার স্ত্রীকে বিবস্ত্র করা হয়েছে। সে সময় হূমায়নকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে বলে দাবি করেন। পরে এলাকার লোকজন হুমায়ুন ও তার স্ত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী ওই চক্র ঘটনাটি আড়াল করতে উল্টো ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জায়গা জমি নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে যে, সুযোগ পেলেই তারা হুমায়ুন ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন করবে। হূমায়নের পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই দখলবাজ চক্র তাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। জমি দখল ও হয়রানির উদ্দেশ্যে বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা পরিবারটিকে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করছে। ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জীবনের নিরাপত্তা ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।