স্টাফ রিপোর্ট :
টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে দেশব্যাপী এক বিশাল টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। টিকা প্রদান করা হবে দেশের সব স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এরই মধ্যে টিকাগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন’-এর জেলা পর্যায়ের উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান।
সভায় জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের আওতায় সিলেট বিভাগে ৩০ লাখ এবং সিলেট জেলায় ১০ লাখ ১৬ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন অগ্রগতির দিক দিয়ে সিলেট বিভাগ ইতোমধ্যে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. আনিসুর রহমান বলেন, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রতিটি শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে।
পেশা, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই টিকা পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে অভিভাবকদের রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্ধারিত তারিখে টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। এই কর্মসূচি একটি স্বাস্থ্যবান ও রোগমুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সভায় টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার এবং টিকাদানের গুরুত্ব তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রাইমারি হেলথ কেয়ার) আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান সরকার, উপপরিচালক (হাসপাতাল) সৈয়দ আবু আহমেদ শাফি, উপপরিচালক (ইপিআই) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মাসন সিংহ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম।
এছাড়াও সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মোটরসাইকেলে হেলমেট না পরলে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা: এসএমপির হুঁশিয়ারি স্টাফ রিপোর্ট সিলেট মহানগর এলাকায় মোটরসাইকেল চালক ও সহযাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আইন অমান্যকারীদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে মোটা অঙ্কের জরিমানা। এসএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮-এর ৪৯(১)(চ) ধারা অনুযায়ী, চালক ব্যতীত একজনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না এবং চালক ও যাত্রী-দুজনেরই হেলমেট পরিধান বাধ্যতামূলক।
বিধি লঙ্ঘনের জন্য: প্রথমবার জরিমানা হবে ৩ হাজার টাকা, দ্বিতীয়বার জরিমানা বাড়িয়ে করা হবে ৬ হাজার টাকা। এছাড়াও এ আইনের আওতায় কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এসএমপির ফেসবুক পেজে এক ঘোষণায় বলা হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেট মহানগর এলাকায় চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীদের যথাযথভাবে হেলমেট পরিধানের অনুরোধ করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময় পর থেকে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর আগেও ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর নজরদারি জোরদার করেছে এসএমপি।
এবার মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রেও কঠোরতা আরোপ করা হচ্ছে। সীমান্তে গরু-মহিষের ‘সবচেয়ে বড়’ চালান জব্দ স্টাফ রিপোর্ট সিলেট সীমান্তে চোরাই পথে আনা ভারতীয় গরু ও মহিষের ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় চালান’ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দকৃত গবাদি পশুর সংখ্যা ২৮৯টি এবং এসবের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। বুধবার দুপুরে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মুয়ীদ এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির দুটি বিশেষ অভিযানে এই বিপুল পরিমাণ গরু ও মহিষ আটক করা হয়।
প্রথম অভিযানে, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের ইটাচোওকী এলাকায়, বিছনাকান্দি বিওপি এবং ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল অভিযান চালিয়ে ২৩৭টি ভারতীয় গরু আটক করে। দ্বিতীয় অভিযানে, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লাফার্জ বিওপির টহলদল সীমান্তবর্তী দিনেরটুক ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩২টি এবং ১০টি করে মোট ৪২টি ভারতীয় মহিষ আটক করে।
বিজিবির দাবি, গরু-মহিষের জব্দ হওয়া চালানগুলোর মধ্যে এটি এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় চালান। এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবেই বিপুল পরিমাণ এই অবৈধ গবাদি পশু জব্দ করা হয়েছে। আটক পশুগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।