নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আশুজিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে শফিকুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে। নিহত শফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের মস্তুল মিয়ার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য শফিকুল ইসলামের মা মালেকা বেগম ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার ছেলে রুমে নেই। এরপর তিনি বাড়ির বাইরে বের হয়ে দেখেন, বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ের একটি আমগাছের ডালে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়েছে তার ছেলে। তখনো ছটফট করছিলেন শফিকুল।
মালেকা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পাশের মসজিদের মুসল্লিরা ছুটে এসে শফিকুলকে নিচে নামিয়ে স্থানীয় ডাক্তার কামালের কাছে নেন। কিন্তু ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে আমরা আরও তদন্ত করে নির্ধারণ করব, যাতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ প্রকাশ পায়। পরিবারসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শফিকুল ইসলাম শান্ত-ভদ্র স্বভাবের ছেলে ছিলেন। তবে মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দুয়ায় আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে, যা সামাজিকভাবে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি আত্মহত্যার পেছনে লুকিয়ে থাকে কোনো না কোনো কারণ- জীবনের প্রতি চরম হতাশা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, পারিবারিক কলহ, অর্থনৈতিক অভাব, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া, বাল্যবিবাহ, কিংবা পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল ইত্যাদি।
তারা মনে করেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম, পরামর্শ সেবা এবং মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা চালু করা গেলে আত্মহত্যার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।