ইবি প্রতিনিধি:
শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(৭ অক্টোবর) বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ইবি শাখা ছাত্রদল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক আহমদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সাবেক সহ- সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডলসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমাম আশরাফ উদ্দিন খান।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শহীদ আবরার ফাহাদ আমাদের এই পরিবর্তত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উজ্জ্বল তারকা, আমাদের চেতনার ও প্রেরণার প্রতীক। আবরার ফাহাদের সেই স্টাটাস ছিল ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে। ভারত গত ফ্যাসিস্ট রেজিমে বাংলাদেশের এত ক্ষতি করেছে। ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর পরে তারা ফ্যাসিস্টকে আশ্রয় দিয়েছে। এতে বুঝতে হবে ভারত বাংলাদেশকে কিভাবে গিলে খাওয়ার প্রচেষ্টায় ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ আবরারের রক্তের প্রতিটি কোণা প্রতিবাদের। তাঁর এই চেতনা আমরা প্রত্যেকে ধারণ করবো চেতনা ও প্রেরণার আবরার হোক আমাদের ছাত্রসমাজের আলোচনার বিষয়।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর)। ২০১৯ সালের এইদিন মধ্যরাত থেকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। তিনি বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন। হত্যার আগে ৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে কিছু ‘অন্যায্য চুক্তির’ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। পোস্টের জের ধরেই তাকে জেরা করা হয় এবং নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীকে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।