ছবি.সংগৃহীত
রুহুল আমিন,ডিমলা(নীলফামারী)
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার এবারের আয়োজনও বেশ বড়। এর আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী, ১ অক্টোবর নবমী, ২ অক্টোবর বিজয় দশমীর মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে।এদিকে দম ফেলার ফুসরত নেই মৃৎশিল্পীদের।
পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দর্শনার্থীদের সুবিধা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখা এবং প্রতিমা বিসর্জনের সুব্যবস্থা করার দিকে লক্ষ্য রাখা। এছাড়াও, দুর্ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
পূজার সময় সাধারণত অনেক ভক্ত, দর্শনার্থী, মিছিল ও অনুষ্ঠান থাকে। তাই সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।
প্রশাসনের ভূমিকা
নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন – আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা – যাতায়াত সহজ করার জন্য সঠিক নিয়ন্ত্রণ।
বিদ্যুৎ ও পানির সহযোগিতা – যাতে অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।
পূজামণ্ডপ ও আয়োজকদের দায়িত্ব
পরিকল্পনা ও অনুমতি – স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পূজামণ্ডপ স্থাপন ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করা।
সুরক্ষা ব্যবস্থা – অগ্নিনির্বাপক, প্রাথমিক চিকিৎসা, বিদ্যুৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রবেশ ও বাহির পথ আলাদা রাখা – যাতে ভিড় জমে না যায়।
স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন – মণ্ডপে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রাখা।
শব্দ নিয়ন্ত্রণ – মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহার আইনসঙ্গত সীমার মধ্যে রাখা,অতিরিক্ত শব্দ না বাজানো।
শুধু নিয়ম থাকলেই হবে না ভক্ত ও দর্শনার্থীদের দায়িত্ব সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে, প্রয়োজনে মাইকিং করে জানাতে হবে।
শৃঙ্খলা বজায় রাখা – ধাক্কাধাক্কি বা হুড়োহুড়ি না করা।
সময় মেনে চলা – ভিড় কমানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ে দর্শন করা।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা – মণ্ডপ ও আশপাশে আবর্জনা না ফেলা।
অন্য ধর্ম ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া – অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য বা আচরণ এড়িয়ে চলা।
মোবাইল ক্যামেরা বা সেলফির কারণে ভিড় সৃষ্টি না করা।
সর্বোপরি নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, পরিছন্নতা, এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখলেই পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।