মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন কাউন্সিল ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক অল্প সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল।শোনা যাচ্ছে চলতি মাসের মধ্যেই জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ৪ টি ইউনিয়নের পূর্নাঙ্গ কমিটির সদস্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভোটে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক পদ সহ গুরুত্বপূর্ন পদ গুলোতে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে উপজেলা কাউন্সিল । তবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর নবগঠিত এই উপজেলার মধ্যে এই প্রথম কাউন্সিলের মধ্যে নেতা নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে।
কাউন্সিলকে ঘিরে উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নবগঠিত এই উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিসিয়াল প্রতিষ্ঠানেও শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা কে হচ্ছেন নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির কান্ডারী। উপজেলা কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য দেনদরবার ও তদবির অব্যাহত রেখেছেন দলের নেতা কর্মীরা। জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে সাবেক সফল চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক বার বার কারানির্যাতি ও তৃনমূল বিএনপির আস্থা ও জনপ্রিয় কর্মীবান্দব নেতা আব্দুল কাইয়ুম মজনু সহ অনেকেই প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন।
উপজেলা সভাপতি পদে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মধ্যে আগামী এই নবগঠিত উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু নামে আলোচনা ও প্রচার প্রচারণা বেশি শোনা যাচ্ছে। বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে,সভাপতি পদে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল লতিফ তালুকদারের সম্তান,বর্তমান উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনুর বড় ভাই, মধ্যনগর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান,তৃনমূলের কর্মীবান্দব ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে বার বার কারা নির্যাতনের স্বীকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু জনপ্রিয়তা ও আলোচনার শীর্ষে রয়েছে।
যদি কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেন হেভিওয়েট এই প্রার্থীর।বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের তৃনমূল নেতাকর্মীরা আসন্ন উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব বাছাইপর্বে তৃনমূলের আস্থা,কর্মীবান্দব,ইয়াং স্মার্ট ও যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা মনোনীত করার চিন্তা করছে।এমনকি যারা বিএনপির দুর্দিনে রাজপথে না থেকে বিভিন্ন কলা কৌশলে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের সাথে মিলে ব্যবসা বানিজ্য চালু রেখেছে,জেল জুলুম থেকে বাঁচতে বিগত ১৭ বছর ধরে যারা বিএনপির মিটিং মিছিলে পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেনি এমনকি তৃনমূলের সাথে সাংঘর্ষিক নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার জোর দাবী জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই আগামী উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল কে সফল করতে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা কর্মীদের সাথে আলোচনা সভা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা বিএনপি সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বিএনপির দুঃসময়ে যারা মধ্যনগরের রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন তারাই উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে আসবেন এইটাই তারা আশা করছেন। বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভোটদানের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হলে তারা যোগ্য নেতার হাতে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপিকে তুলে দেবেন।
নবগঠিত এই উপজেলার রাজনীতিতে বিএনপির নেতৃত্বে কারা আসছেন সেটাই এখন বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা আগ্রহ সহকারে অপেক্ষা করছেন। তবে জেলা বিএনপির কাছে তৃণমূল বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের ত্যাগী নির্যাতিত কর্মীরা ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে দাবী জানিয়েছেন নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো তৃনমূল বিএনপির মতামতের উপর ভিত্তি করে,তৃনমূল কর্মী বান্ধব, বিগত ১৭ বছরের রাজপথের পরীক্ষিত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করার জোর দাবী জানাচ্ছেন।
মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির আসন্ন কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু জানান,নবগঠিত এই উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের তৃণমূল নেতাকর্মীরা চাইলে আমি সভাপতি পদে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ। আর এর মধ্যে দিয়েই মধ্যনগর উপজেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করবো।