মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মির্জা মো: তারেককে নারী কেলেঙ্কারি ও সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে তারেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ ২০২৪ (১১ই রমজান) তারিখে গণিত বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তারেককে ক্যাম্পাসের একটি ব্যাচেলর মেসে দেখা যায়।
রমজান মাসের মতো পবিত্র মাসে এ ধরনের আপত্তিকর ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে ২০ মার্চ রাতে তারেক ছাত্রলীগের ২০–২৫ জন কর্মী নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। এতে সে শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন এবং মানসিক চাপে পড়েন। ঘটনার পর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করা হলেও ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী প্রশাসন দীর্ঘদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের ২৫০তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে আগামী ৩ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও আর্থিক জরিমানা করা হয়।
তারেক ক্যাম্পাস জীবনের শুরুতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে দাপট দেখানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায়ও সে সক্রিয়ভাবে অংশ নিত। তবে গত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে সে হঠাৎ ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ছাত্রদলের ৭৩ ভোটারের কাউন্সিলের মাধ্যমে মাভাবিপ্রবিতে নতুন কমিটি গঠিত হলে সেখানে তারেকের ভোটার নম্বর ছিল ৫১। এমনকি ৯ সেপ্টেম্বরে বহিষ্কারের আদেশ ও ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরও ১৩ সেপ্টেম্বরবিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্রদলের পাম্পলেট বিতরণ কার্যক্রমেও তাকে অংশ নিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে যোগ দিয়েও তারেক ক্যাম্পাসে দাপট দেখাত এবং নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিল। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় শাস্তি পাওয়ায় তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।