রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে সংঘবদ্ধ অটো ছিনতাই চক্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় নতুন চৌপথী এলাকায় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান অটো চালক আবুল কাশেম, এবং চুরি হয়ে যায় তার চালিত অটো রিকশাটি। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ চক্রের সদস্য মিঠুল মিয়া (ওরফে মাসুদ)-এর বাড়ি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অটোটি উদ্ধার করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, আবুল কাশেম অন্যের মালিকানাধীন অটো নিয়ে যাত্রী পরিবহনের কাজে বের হন। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর নতুন চৌপথী থেকে যাত্রী সেজে অটোতে ওঠেন ছিনতাই চক্রের এক সদস্য। বরাতি ব্রিজের দিকে যাওয়ার পথে চালককে অজ্ঞান করে অটোটি ছিনিয়ে নেয় অপরাধী। প্রায় এক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে আবুল কাশেম নিজেকে মহাসড়কের ধারে শুয়ে থাকতে দেখেন এবং বুঝতে পারেন যে অজ্ঞান পার্টির চোরেরা তার অটো নিয়ে পালিয়েছে।
পরদিন তিনি তারাগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তদন্তে নামে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা গঙ্গাচড়া উপজেলার জয়দেব কৈপাড়ায় অটো চোর সিন্ডিকেটের সদস্য মিঠুল মিয়ার বাড়িতে অটোটির সন্ধান পান। গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় তারাগঞ্জ পুলিশ অভিযান চালিয়ে অটোটি উদ্ধার করে এবং মিঠুলকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুল স্বীকার করেন যে, চক্রের এক সদস্য তাকে ফোন করে অটো ছিনতাইয়ের খবর দেন এবং অটোটি নিতে বলেন।
পরে তিনি হাজীরহাট থেকে অটোটি নিয়ে নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক জানান, “আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। তথ্যপ্রযুক্তি এবং আন্তঃথানা সহযোগিতা আমাদের অভিযানকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সক্রিয় রয়েছে এবং অনুরূপ আরও কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছি । তদন্ত এখনও চলমান, এবং চক্রের অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”