নিজস্ব প্রতিবেদক ।। পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী গ্রামে পেয়ারা গাছ কাটা কে কেন্দ্র করে দুই দফায় হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সৎ ভাই ও তার পরিবারের লোকজন। তারা জোরপূর্বক ভুক্তভোগীর পেয়ারা গাছটি কেটে ফেলে। তিনি বাড়িতে না থাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি দেয়। গত সোমবার (১সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩ টায় দেউলী গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান (নয়া মিয়া)’র ছেলে ও বরিশাল আলিফ টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন ও তার মা আলেয়া বেগম এবং ভাতিজা জুয়েল হোসেন। আহতদের মধ্যে ইসমাইল ও তার মা আলেয়াকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে ইসমাইল হোসেন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।একই পরিবারের নারী সহ ৩ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার । ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন যাবত বরিশাল পোর্ট রোড এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। তিনি অত্যন্ত নম্র ভদ্র একজন মানুষ। তার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে তার সৎ মা ও তার পরিবার।
আহত ইসমাইল জানান, কয়েকদিন পূর্বে ইসমাইল হোসেনের লাগানো পেয়ারা গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয় সৎ মা সাফিয়া বেগম ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এ ব্যাপারে সে প্রতিবাদ করলে ভুক্তভোগী কে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে। ঘটনা দিন ইসমাইল হোসেন গ্রাম থেকে বরিশালে উদ্দেশ্যে আসার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়ির উঠানে বসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি দেয় ওই সন্ত্রাসী বাহিনীরা। এ সময় তার মা আলেয়া বেগম প্রতিবাদ করলে তাকে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।এ ঘটনায় তার বাবা নয়া মিয়া বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ।প্রতিপক্ষরা মামলা করায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং দুপুরে ইসমাইল হোসেন বাড়িতে আসলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাফিয়া,হাসি ও সৎ ভাই মিল্টন,মনির,শাহীন,সাইফুল, তরিকুল,ও ফোরকান সহ অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন সন্ত্রাসীরা ইসমাইলকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
তার ডাক চিৎকার শুনে ভাতিজা জুয়েল বাঁচাতে ছুটে আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয় । আহত ইসমাইল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাকে যেকোনো সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, ওই ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। মারধর করেও ক্ষান্ত হয়নি এখন বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে এবং মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য নাটক সাজানোর চেষ্টা করছে। ভুক্তভোগী পরিবার প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নজরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ নিয়ে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনরা আরো জানান।