ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অধ্যয়নরত কুরআনের হাফেজ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিন শতাধিক হাফেজে কুরআনদের ক্রেস্ট ও পবিত্র কুরআন দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে শাখা শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. আব্দুল মান্নান, আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী সহ কয়েকশো শিক্ষার্থী।
সংগঠনের দাওয়াহ সম্পাদক আসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাংলাদেশের হাতেগুনা কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ধর্মতত্ত্বের বিভাগ আছে হাতেগুনা কয়েকটা। শিক্ষার্থীরা ধর্মতত্বে ভর্তি হলেও নাস্তিকদের আগ্রাসন, সাংস্কৃতিক আধিপত্যের কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিজেদের হাফেজ পরিচয় দিতে দ্বিধা করে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।’
কুরআনকে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোরআন থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “যে ব্যক্তি কোরআন শিখে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় না। কেয়ামতের ময়দানে তাদেরকে অন্ধ করে উঠানো হবে। সে আশ্চর্য হয়ে বলবে আমাকে তো এভাবে উত্থাপন করার কথা না। তাকে বলা হবে তোমার কাছে আয়াত দেওয়া হয়েছিল, সতর্ক করা হয়েছিল, অন্যকে সতর্ক করার কথা বলা হয়েছিল ” তাদের অবস্থা খুব ভয়াবহ হবে।
হাফেজে কুরআনের সম্মান উল্লেখ করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাফেজে কোরআন হয় কেয়ামতের দিন তাকে মুকুট পড়ানো হবে, তার সম্মান বাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং হাফেজে কুরআনদের তিলাওয়াত জান্নাতে যত দূর পৌঁছাবে, ততটুকু জায়গা তার নামে বরাদ্দ দেওয়া হবে। যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য সে সুযোগ থাকছে না।’